মহারাষ্ট্রে বাস দুর্ঘটনায় মৃতের সংখ্যা বেড়ে হল ১২ জন। এছাড়াও, আহত হয়েছেন ১৫ জন, যাদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা, গুরুতর। শুক্রবার মহারাষ্ট্রের গোন্ডিয়ায় বাসটি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। নিহতদের মধ্যে ৭ জন হলেন মহিলা। এই ঘটনায় শোক প্রকাশ করছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি নিহতদের পরিবারকে ২ লক্ষ টাকা এবং আহতদের ৫০ হাজার টাকা করে আর্থিক সাহায্য প্রদানের নির্দেশ দিয়েছেন।
আরও পড়ুন: কলকাতা থেকে পটনা যাওয়ার পথে উলটে গেল বাস, প্রাণ গেল সাতজনের, আহত বহু
জানা গিয়েছে, শুক্রবার দুপুর সাড়ে ১২টা নাগাদ খাজরি গ্রামের কাছে গোন্দিয়া-কোহমারা রোডে দুর্ঘটনার কবলে পড়ে মহারাষ্ট্র স্টেট রোড ট্রান্সপোর্ট কর্পোরেশনের শিবশাহী বাসটি। ৩৫ জন যাত্রী নিয়ে বাসটি নাগপুর থেকে গোন্ডিয়া এবং পরবর্তীতে ভান্ডারার দিকে যাচ্ছিল। সেই সময় বাসটি মুর্দারলি বন অঞ্চলের রাস্তার একটি বাঁক বরাবর একটি ট্রাককে দ্রুত গতিতে ওভারটেক করার চেষ্টা করছিল। সেই সময় সামনে একটি বাইক চলে আসে।
ঘটনায় বাইক চালককে বাঁচাতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে বাসটি উলটে যায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, দুর্ঘটনার বিকট শব্দ শুনে স্থানীয় গ্রামবাসীরা ঘটনাস্থলে ছুটে আসেন। সেই সঙ্গে স্থানীয় পুলিশকে খবর দেন তারা। এরপর পুলিশ যাত্রীদের বাস থেকে উদ্ধার করে। স্থানীয়রাও সেই কাজে হাত দেন। বাসের দরজা আটকে থাকায় কাঁচের জানালা ভেঙে ফেলে যাত্রীদের উদ্ধার করা হয়। এরপর দ্রুত তাদের নিয়ে যাওয়া হয় নিকটবর্তী হাসপাতালে। সেখানে ১২ জনকে মৃত ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা।
প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী ঘটনায় শোক প্রকাশ করেন। এছাড়াও, বিদায়ী মুখ্যমন্ত্রী একনাথ শিন্ডে জেলা প্রশাসনকে আহতদের সমস্ত চিকিৎসা পরিষেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। নিহতদের পরিবারকে ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে রাজ্য সরকার।
কিছু স্থানীয় প্রতিবেদন অনুযায়ী, দুর্ঘটনার পরে বাস চালক পালিয়ে যায়। তার খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। যদিও এমএসআরটিসি কর্মকর্তারা এ বিষয়ে মন্তব্য করতে চাননি।দুর্ঘটনায় নিহত ১২ জনের মধ্যে কয়েকজনকে চিহ্নিত করা হয়েছে। তাদের নাম হল রাজেশ লাঞ্জেওয়ার, মঙ্গলা লাঞ্জেওয়ার, রামচন্দ্র কানোজিয়া, আনজিরা কানোজিয়া, আজহার আলি সৈয়দ, আরিফা এ সৈয়দ, কল্পনা ওয়াংখেড়ে, স্মিতা সূর্যবংশী এবং নয়না মিটকার। অন্যদের পরিচয় জানার চেষ্টা করছে পুলিশ।