করোনা সংক্রমণ মোকাবিলায় জনতা কারফিউ ঘোষণা করার দুই দিন আগেই কেন্দ্রীয় রেলমন্ত্রী পীযূষ গোয়েলের সঙ্গে সংক্রমণ রুখতে রেলের ভূমিকা নিয়ে আলোচনা সেরেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
জানা গিয়েছে, ২২ মার্চ রেলমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে আলোচিত হয়েছিল প্রত্যন্ত গ্রামীণ অঞ্চল যেখানে শ্বাসকষ্টজনিত রোগীর চিকিৎসা অপ্রতুল, সেখানকার সংক্রামিত রোগীদের শুশ্রুষা নিয়েও। তখনই রেলওয়েকে কাজে লাগানোর বিষয়ে রেলমন্ত্রীকে চিন্তাভাবনা করার পরামর্শ দেন নমো।
প্রধৈানমন্ত্রী বআগেই অনুমান করেছিলেন যে, লকডাউন আরোপ করা হলেও বেশ কিছু নাগরিক নিষেধাজ্ঞা অমান্য করে বিপদ ডেকে আনতে পারেন। সেই জন্য প্রশাসনকে প্রস্তুত থাকতে হবে বলেও তিনি বুঝেছিলেন।
জানা গিয়েছে, এই আলোচনার মাধ্যমেই ট্রেনের কামরায় আইসোলেশন ওয়ার্ড চালু করার আইডিয়াটি ডানা মেলে। দেশের কোনও নির্দিষ্ট অংশে সংক্রমণের বাড়াবাড়ি ঘটলে সেখানে পৌঁছে যাবে এই চলমান আইসোলেশন ওয়ার্ডগুলি।
দেশের সাতশোর বেশি জেলায় ৭,৩০০ এর বেশি রেল স্টেশন রয়েছে। যে কোনও স্টেশন সেই জেলার সদর শহরের তুলনায় কাছাকাছি অবস্থ্িত। তাই জেলা হাসপাতালে পৌঁছোনার অনেক আগে রেলের তৈরি এই আইসোলেশন ওয়ার্ডে পৌঁছে যেতে পারবেন করোনা আক্রান্ত রোগী। চিকিৎসার সাহায্যে সেখানে তিনি সুস্থও হয়ে উঠবেন।
পরিকল্পনা অনুমোদিত হওয়ার কিছু দিনের মধ্যেই রেল কামরায় মডেল আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হয়ে যায়। প্রথম দফায় ৫,০০০ কামরাকে রূপান্তরিত করার কাজে নেমেছে রেল মন্ত্রক। সেই সূত্রে সারা দেশে ৮০,০০০ শয্যার আইসোলেশন ওয়ার্ড তৈরি হচ্ছে।
এ ছাড়া, লকডাউনের জেরে সড়কপথ অচল হয়ে পড়ায় নিত্যপ্রয়োজনীয পণ্য বোঝাই ট্রাকগুলি মালগাড়িতে চাপিয়ে দ্রুত গন্তব্যে পৌঁছে দেওয়ার দায়িত্বও পালন করছে রেল।