নতুন ভারত ঝুঁকি নিতে পারে। জার্মানিতে দাঁড়িয়ে এমনই কথা বললেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। সোমবার তিনি বলেছেন, নতুন ভারত শুধুমাত্র নিরাপদ ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে না বরং ঝুঁকিও নেয়। বার্লিনে ভারতীয় প্রবাসীদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'মেক ইন ইন্ডিয়া' আত্মনির্ভর ভারতের চালিকাশক্তি হয়ে উঠেছে। তিনি বলেন যে ভারতের শাসনব্যবস্থায় প্রযুক্তিকে যেভাবে অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তা দেশের নতুন রাজনৈতিক ইচ্ছার পাশাপাশি গণতন্ত্রের সামর্থ্যও দেখায়।
প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেন, স্বাধীনতার পর ভারত একটি দিকনির্দেশনা নিয়েছিল কিন্তু দেশ যেকোনও কারণেই হোক না কেন পিছিয়ে গিয়েছে। মোদী বলেন, ‘সময়ের সাথে সাথে যে অসংখ্য পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, যে গতিতে সেই পরিবর্তন হওয়া উচিত ছিল, যে ব্যাপকভাবে তা হওয়া উচিত ছিল, তা হয়নি। তাই আমরা কোনও না কোনো কারণে পিছিয়ে পড়েছি।’
আরও পড়ুন: যুদ্ধের মাঝেই মারণ রোগ ক্যান্সারে আক্রান্ত পুতিন, অস্ত্রোপচারের জন্য ছাড়ছেন গদি
প্রধানমন্ত্রী তাঁর ভাষণে ‘ন্যূনতম সরকার (সরকারি হস্তক্ষেপ) ও সর্বোচ্চ শাসনের’ ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘যেখানে প্রয়োজন সেখানে সরকারের অনুপস্থিতি থাকা উচিত নয় কিন্তু যেখানে প্রয়োজন নেই সেখানেও সরকারের থাকা উচিত নয়।’ কংগ্রেসকে তোপ দেগে মোদী বলেন, ‘আমি কারো সমালোচনা করছি না কিন্তু রাস্তা তৈরির পর তা বিদ্যুতের জন্য, তারপর জলের জন্য খোঁড়া হত ২০১৪ সালের পর।’
এদিন মোদী বলেন, ‘ভারত ঝুঁকি নেয়, উদ্ভাবন করে। আমার মনে আছে যে ২০১৪ সালের দিকে, আমাদের দেশে মাত্র ২০০ থেকে ৪০০টি স্টার্টআপ ছিল। আজ, দেশে ৬৮ হাজারেরও বেশি স্টার্টআপ রয়েছে। আজ যেভাবে ভারতে শাসন ব্যবস্থায় প্রযুক্তি অন্তর্ভুক্ত করা হচ্ছে, তাতে নতুন ভারতের রাজনৈতিক সদিচ্ছা দেখা যাচ্ছে... এখন কোনও প্রধানমন্ত্রীকে বলতে হবে না যে আমি দিল্লি থেকে ১ টাকা পাঠাই কিন্তু মাত্র ১৫ পয়সা পৌঁছায় জনগণের কাছে।’