শনিবার কুয়েত সফরে গিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আর সেখানে গিয়েই সোশ্যাল মিডিয়ায় অনুরোধ পেয়ে অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসার মঙ্গল সাইন হান্ডার সঙ্গে দেখা করলেন প্রধানমন্ত্রী। শতায়ু এই আইএফএস অফিসারের সঙ্গে দেখা করার জন্য সোশ্যাল মিডিয়ায় আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন তাঁর নাতনি। সেই অনুরোধেই তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস অফিসারের সঙ্গে দেখা করেন। কুয়েতের মাটিতে প্রধানমন্ত্রীর এমন উদ্যোগ সকলের নজর কেড়েছে।
আরও পড়ুন: খেলার মাঠে মোদীর কুটনীতি, আরব গালফ কাপ উদ্বোধনে সাক্ষাৎ কুয়েতের আমিরের সঙ্গে
১০১ বছর বয়সি প্রাক্তন আইএফএস অফিসার এখন কুয়েতে বসবাস করেন। মোদী তাঁকে শুভেচ্ছা জানান। তবে শুধু তাঁদের মধ্যে শুভেচ্ছা বিনিময়ই হয়নি। তাঁর পরিবারের সঙ্গে ছবিও তুলেছেন মোদী। উল্লেখ্য, প্রায় চার দশক আগে অবসর নেওয়ার আগে হান্ডা কুয়েত, যুক্তরাজ্য, ইরাক, চিন, আর্জেন্টিনা এবং কম্বোডিয়ায় দায়িত্ব পালন করেছিলেন। শুক্রবার হান্ডার নাতনি শ্রেয়া জুনেজা মোদীকে তাঁর সফরের সময় দাদুর সঙ্গে দেখা করার জন্য প্রধানমন্ত্রীর কাছে অনুরোধ করেছিলেন। শনিবার এয়ার ইন্ডিয়া ওয়ানে কুয়েতের উদ্দেশ্যে উড়ান শুরুর ঠিক আগে মোদী এক্স হ্যান্ডেলে প্রতিক্রিয়ায় জানিয়েছিলেন, অবশ্যই তিনি কুয়েতে গিয়ে মঙ্গল সাইন হান্ডার সঙ্গে দেখা করবেন। সেইমতোই কুয়েতে নেমে তিনি অবসরপ্রাপ্ত আইএফএস আধিকারিকের সঙ্গে দেখা করেন। মঙ্গল সাইন হান্ডার ছেলে দিলীপ হান্ডা বলেন, ‘এটি সারাজীবনের অভিজ্ঞতা। প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন যে তিনি বিশেষ করে তাঁর (আমার বাবার) সঙ্গে দেখা করতে এখানে এসেছিলেন। আমরা প্রধানমন্ত্রী মোদীর কাছে কৃতজ্ঞ।’
এর পাশাপাশি প্রধানমন্ত্রী রামায়ণ ও মহাভারতের আরবি ভাষায় অনুবাদক আবদুল্লা আল বারোন এবং প্রকাশক আবদুল লাতিফ আল নাসেফের সঙ্গে দেখা করেন। নাসেফ জানান, এই দুটি মহাকাব্য অনুবাদের জন্য দুবছর সময় লেগেছে।
উল্লেখ্য, এর আগে ভারত থেকে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে কুয়েত সফরে গিয়েছিলেন ইন্দিরা গান্ধী। তার ৪৩ বছর পর ফের কোনও প্রধানমন্ত্রী কুয়েত সফরে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী আরবি ভাষায় অনুবাদ করা রামায়ণ ও মহাভারতের প্রতিলিপিও পেয়েছিলেন। মোদী বলেন, ‘কুয়েতে প্রাণবন্ত ভারতীয় প্রবাসীরা আমাকে আন্তরিকভাবে স্বাগত জানিয়েছেন। তাদের উৎসাহের জন্য আমি কৃতজ্ঞ এবং আমাদের দুদেশের মধ্যে সম্পর্ক জোরদার করার জন্য তাদের অবদানের জন্য গর্বিত।’