পঞ্চায়েত রাজ দিবসে দেশের বিভিন্ন গ্রামে সম্পত্তির ই-কার্ড বিতরণের SMVITA প্রকল্প চালু করলেন। আজকের অনুষ্ঠানে ভার্চুয়াল মাধ্যমে উপস্থিত ছিলেন উত্তরপ্রদেশ, মধ্যপ্রদেশ, কর্ণাটক, রাজস্থান, হরিয়ানা, অরুণাচল প্রদেশ, অন্ধ্র প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ এবং উত্তরাখণ্ডের মুখ্যমন্ত্রীরা। এদিকে আজকের অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়েও করোনা প্রসঙ্গ নিয়ে সতর্ক বার্তা দিলেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
এদিন প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'দেশের ৫ কোটি মানুষকে পঞ্চায়েতিরাজ ব্যবস্থার সঙ্গে যুক্ত করা হল। পাঞ্চায়েতিরাজ দিবসের এই দিনটিকে গ্রামীণ ভারতের বিকাশের জন্য উল্লেখযোগ্য দিন হিসেবে পালন করা হচ্ছে। দেশের বিভিন্ন রাজ্যে পঞ্চায়েত নির্বাচন হয়ে গিয়েছে।, কোথাও কোথাও হবে। তাই নতুন প্রতিনিধিদের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি। গ্রামের বিকাশ, আত্মনির্ভরতার জন্য বিভিন্ন প্রকল্প আনা হয়েছে। এর মধ্যে সম্পত্তি কার্ড অন্যতম। এর ফলে গ্রামের বিকাশ গতি পেয়েছে।'
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, 'দেশের ৫ হাজার গ্রামের মোট ৪ লক্ষ মানুষকে সম্পত্তি কার্ড দেওয়া হয়েছে এখনও পর্যন্ত। এর ফলে গ্রামের মানুষরা আরও বেশি আত্মনির্ভর হয়েছে। গ্রামীণ এলাকায় জমি নিয়ে বিবাদ কমেছে। গরিব, দলিতদের শোষণ কমেছে। জমির বিবাদ সংক্রান্ত মামলা কমে গিয়েছে। যারা বাড়ির দলিল পেয়েছেন, তারা ব্যাঙ্ক থেকে ঋণ নিতে পারছেন।'
এদিকে সংশ্লিষ্ট রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীদের উদ্দেশে করোনা নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বার্তা দেন, করোনা যাতে গ্রামীণ অঞ্চলে না পৌঁছতে পারে সেদিকে নজর রাখতে হবে। এপ্রসঙ্গে মোদী বলেন, 'যখন আমরা গতবছর পঞ্চায়েত রাজ দিবস পালন করি তখনও আমরা করোনার সঙ্গে লড়াই করছিলাম। সেই সময়ও আমি আপনাদের কাছে আবেদন জানিয়েছিলাম যাতে করোনা গ্রামে ছড়িয়ে না পড়ে। আপনারা গ্রামে করোনার থাবা বসানো থেকে আটকেছেন। শুধু তাই নয় আপনারা সচেতনতার বার্তা দিয়েছেন। এই বছরও আমাদের উদ্যোগ নিতে হবে যাতে করোনা গ্রামীণ এলাকা থেকে দূরে থাকে।'
করোনা আটকাতে কেন্দ্রের প্রকাশিত গাডলাইন্স প্রসঙ্গে প্রধানমন্ত্রী বলেন, 'করোনা নিয়ে যে সব গাইডলাইন্স প্রকাশ করা হয়েছে তা যেন গ্রামীণ এলাকাতেও মেনে চলা হয় তা নিশ্চিত করতে হবে। আমরা নিশ্চিত করছি গ্রামের সকলেই টিকার দুটি করে ডোজ পাবেন।'