পুলওয়ামা হামলার চতুর্থ বার্ষীকি আজ। ২০১৯ সালের আজকের দিনই জঙ্গি হামলায় ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ান প্রাণ হারিয়েছিলেন কাশ্মীরে। পাকিস্তানের মদতপুষ্ট জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ পরে সেই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। সেই হামলার যোগ্য জবাবও দিয়েছিল ভারত। চারবছর পুরোনো সেই রক্তস্নাত হামলার স্মৃতিচারণ করে আজ সকালে টুইট করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। টুইটে তিনি লিখেছেন, 'বীরদের আত্মত্যাগ কখনও ভোলা যাবে না।'
টুইট বার্তায় প্রধানমন্ত্রী আজ লেখেন, 'আজকের দিনে আমরা পুলওয়ামা হামলায় আমাদের বীরদের হারিয়েছিলাম। তাঁদের সর্বোচ্চ আত্মত্যাগ আমরা কখনও ভুলব না। তাঁদের সাহস আমাদের শক্তিশালী ও উন্নত ভারত গড়তে অনুপ্রাণিত করে।' উল্লেখ্য, চারবছর আগে আজকের দিনই জম্মু ও কাশ্মীরের পুলওয়ামা জেলায় অবন্তীপাড়ার কাছে লেথোপোড়ায় জম্মু শ্রীনগর জাতীয় সড়কে আধা সামরিক বাহিনীর একটি গাড়ির বহর আত্মঘাতী বোমা হামলার শিকার হয়েছিল। এই হামলার জেরে ৪০ জনেরও বেশি কেন্দ্রী বাহিনীর জওয়ার প্রাণ হারিয়েছিলেন। পাক ভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন জইশ-ই-মহম্মদ এই হামলার দায় স্বীকার করেছিল। হামলাকারী আদিল আহমদ দার ছিল পুলওয়ামা জেলার স্থানীয় বাসিন্দা।
এই হামলার কয়েকদিন পরই পাকিস্তান-অধিকৃত কাশ্মীরে অবস্থিত জঙ্গি শিবিরের বিমান অভিযান চালিয়েছিল ভারত। ১৯৭১ সালের ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর এই প্রথমবার পাকিস্তানের বিরুদ্ধে বিমান অভিযান চালিয়েছিল ভারত। পরবর্তীকালে ভারত আন্তর্জাতিক মহলে অভিযোগ আনে, পাকিস্তান তাদের মাটিতে সন্ত্রাসীদের আশ্রয় দিচ্ছে। দু'দেশের কূটনৈতিক সম্পর্ক প্রায় তলানিতে এসে ঠেকে। কাশ্মীরের সীমান্ত বিরোধের কারণে ভারত ও পাকিস্তান একে অপরকে হুমকি দিতে শুরু করে। এদিকে ভারতের বালাকোট এয়ারস্ট্রাইকের জবাবে পাকিস্তানও নিজেদের যুদ্ধবিমান ভারতের উদ্দেশে উড়িয়ে দেয়। পাকিস্তানি এফ-১৬ যুদ্ধবিমানের ডগফাইটে একটি ভারতীয় বিমানকে ধ্বংস হয়। তার আগে পাকিস্তানি যুদ্ধবিমানও গুঁড়িয়ে দেন ভারতীয় ফাইটার পাইলট অভিনন্দন বর্তমান। তবে তিনি পাকিস্তানিদের হাতে ধরা পড়েন। পরবর্তীতেত অবশ্য নয়াদিল্লির কূটনৈতিক চাপের জেরে পাকিস্তান অভিনন্দনকে ভারতে ফিরিয়ে দিতে বাধ্য হয়।