সংবিধান গৃহীত হওয়ার ৭৫ বছর পূর্তি উপলক্ষে লোকসভার অধিবেশনে বক্তব্য রাখতে গিয়ে দেশকে আরও উন্নত করার প্রতিশ্রুতি দিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। এর জন্য তিনি ১১টি প্রস্তাবের রূপরেখা পেশ করেন। প্রস্তাবে দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ থেকে শুরু করে ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে মুক্তি, নারীদের আরও ক্ষমতায়নের কথা বলেছেন নরেন্দ্র মোদী। তাঁর দাবি, এর ফলে ২০৪৭ সালের মধ্যে দেশ বিকশিত ভারতের লক্ষ্য অর্জন করবে।
আরও পড়ুন: সংবিধান পরিষদ চেয়েছিল দেশে যাতে অভিন্ন দেওয়ানি বিধি কার্যকর হয়: মোদী
লোকসভায় সংবিধান বিতর্কের জবাবে প্রধানমন্ত্রী মোদী বলেছিলেন, ‘সংবিধানের অন্তর্নিহিত চেতনায় অনুপ্রাণিত হয়ে আমি দেশের ভবিষ্যতের জন্য সংসদের সামনে ১১ টি প্রস্তাব পেশ করতে চাই।’
প্রধানমন্ত্রীর পেশ করা এই প্রস্তাবগুলি হল-
১) সরকার হোক বা নাগরিক হোক সকলকেই তাদের দায়িত্ব পালন করতে হবে।
২) ‘সবকা সাথ, সবকা বিকাশ’ নিশ্চিত করতে হবে।
৩) দুর্নীতির প্রতি জিরো টলারেন্স নীতি গ্রহণ করা।
৪) নাগরিকদের দেশের সংস্কৃতি এবং ঐতিহ্য নিয়ে গর্ব করা উচিত এবং আইনগুলি গর্বের সঙ্গে মেনে চলা উচিত।
৫) প্রস্তাবে মোদী বলেছেন, ঔপনিবেশিক মানসিকতা থেকে নিজেকে মুক্ত করতে হবে।
৬) দেশের রাজনীতিকে পারিবারিক শাসন থেকে মুক্ত করার উপর জোর দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তাঁর প্রস্তাব অনুযায়ী, ‘দেশের রাজনীতিকে পারিবারিক শাসন থেকে মুক্ত করতে হবে।’
৭) মোদী প্রস্তাবে নাগরিকদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘সংবিধানকে সম্মান করুন এবং ব্যক্তিগত লাভের জন্য এর অপব্যবহার রোধ করুন।’
৮) সংরক্ষণ প্রসঙ্গে মোদী বলেন, ‘যে সংরক্ষণ আগে থেকেই আছে সেগুলি ছিনিয়ে নেওয়া হবে না।’ এর পাশাপাশি ধর্ম ভিত্তিক সংরক্ষণ এড়িয়ে চলার ওপর জোর দেন মোদী।
৯) মহিলাদের নেতৃত্ব বাড়াতে হবে। এক্ষেত্রে ভারতকে উদাহরণ গড়তে হবে।
১০) মোদীর দশম প্রস্তাব হল রাজিগুলির উন্নয়নের মাধ্যমে দেশকে আরও উন্নত করে তোলা।
১১) প্রধানমন্ত্রীর শেষ এবং ১১ তম প্রস্তাব হল ‘এক ভারত, শ্রেষ্ঠ ভারত’। তিনি বলেন, ‘এটাই আমাদের লক্ষ্য।’ তিনি আরও বলেন, ‘আমাদের এই সমস্ত প্রস্তাব হল সংবিধানের অন্তর্নিহিত চেতনার মন্ত্র। আমাদের জনগণকে নিয়ে এগিয়ে যাওয়া উচিত।’
এদিন প্রধানমন্ত্রী মোদী কংগ্রেসকে সর্দার প্যাটেল এবং সীতারাম কেশরীর মতো নেতাদের অসম্মান করার জন্য আক্রমণ করেন। তিনি বলেন, ‘কংগ্রেস একটি শব্দ খুব পছন্দ করে। আমি আজ সেই শব্দটি ব্যবহার করতে চাই। তাদের প্রিয় শব্দ, যা ছাড়া তারা বাঁচতে পারে না তা হল ‘গরিবি হটাও।’ প্রধানমন্ত্রীর মতে, এটা তাদের ফাঁকা বুলি (জুমলা) ছাড়া কিছুই নয়। এতো বছর কংগ্রেস ক্ষমতায় থাকার পরেও গরিবদের জন্য কিছুই করেনি।