ব্রিকসভূক্ত দেশগুলির বিজনেস ফোরামের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এদিন বক্তব্য রাখেন নরেন্দ্র মোদী। প্রধানমন্ত্রী এদিন তাঁর ভাষণে দেশের উন্নয়ন ও অগ্রগতির প্রসঙ্গ তোলেন। জানান, প্রযুক্তির ওপর নির্ভর করে দেশ ৭.৫ শতাংশ আর্থিক বৃদ্ধির আশা রাখে।
ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চিন, দক্ষিণ আফ্রিকা সহ ব্রিকসভূক্ত দেশগুলির বিজনেস ফোরামে এদিন ভার্চুয়াল বৈঠকে যোগ দিয়ে দেশের প্রগতির বার্তা দেন প্রধানমন্ত্রী। মোদী বলেন, বিশ্ব যখন কোভিড পরবর্তী সময়ে নিজেকে ধীরে ধীরে স্বাভাবিক করছে তখন বিশ্বের উন্নয়নে ব্রিকসভূক্ত দেশগুলির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। মোদী বলেন, ‘বহুল পরিবর্রকনের হাত ধরে ধীরে ধীরে এগিয়ে চলেছে ভারত।’ ভারত যে মন্ত্রে বিশ্বাসী তা হল ‘রিফর্ম, পারফর্ম, ট্রান্সফর্ম’। আর এই মন্ত্র দিয়েই দেশ অর্থনৈতিক সমস্যাগুলিকে কাটিয়ে ওঠার চেষ্টা করছে। হরিণের শিংয়ের রক্তে সত্যিই কি স্নান করেন পুতিন? স্বাস্থ্য ঘিরে বহু প্রশ্ন উঠছে
মোদী বলেন, এর প্রমাণ ‘ভারতের অর্থনৈতিক অগ্রগতি’ থেকেই বোঝা যায়। মোদী বলেন, ‘প্রতিটি সেক্টরে আমরা উদ্ভাবনকে সমর্থন করছি। আমরা উদ্ভাবন নির্ভর নীতি বিভিন্ন ক্ষেত্রে লাগু করেছি। ’ তিনি এই প্রসঙ্গে নীল অর্থনীতি, পরিচ্ছন্ন শক্তি সহ একাধিক বিষয়ের প্রসঙ্গ উত্থাপন করেন। মোদী বলেন, ‘ ১.৫ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারের সুযোগ রয়েছে ন্যাশনাল ইনফাস্ট্রাকটার পাইপলাইনের আওতায়।’ একইসঙ্গে তিনি বলেন, দেশে ১০০ টি ইউনিকর্ন রয়েছে, সঙ্গে রয়েছে ৭০ হাজার স্টার্ট আপ। মোদী জানান, ‘২০২৫ সালের মধ্যে ভারতের ডিজিটাল অর্থনীতি ১ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলারে পৌঁছে যাবে। ’ অসুস্থ সনিয়া, ন্যাশনাল হেরাল্ড মামলায় হাজিরা নিয়ে সনিয়ার আর্জি নিয়ে কী জানাল ED?
এছাড়াও দেশের বিভিন্ন সেক্টরগুলিতে মহিলাদের উপস্থিতির ভূয়সী প্রশংসা করেন মোদী। তিনি বলেন, ডিজিটাল সেক্টরের উন্নতিতে মহিলারা উৎসাহ পেয়েছেন এই কর্মযজ্ঞে অংশ নিতে। তিনি পরিসংখ্যান তুলে ধরে জানান, ৪.৪ মিলিয়ন আইটি কর্মীর মধ্যে ৩৬ শতাংশ মহিলা। প্রধানমন্ত্রী তুলে ধরেন প্রান্তিক মহিলাদের কথাও। জানান, কীভাবে ডিজিটাল অর্থনীতির উন্নয়নের হাত ধরে গ্রামের মহিলারা আর্থিক দিক থেকে লাভবান হয়েছেন, সেবিষয়ে।