যারা মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে রাজনীতিতে তারাই ভালো ফলাফল করবে এবং টিকে থাকবে। শনিবার ইটি নাও গ্লোবাল বিজনেস সামিটে যোগ দিয়ে এমনই মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। তিনি জানান, বর্তমানের রাজনীতি কর্মক্ষমতা ভিত্তিক হয়ে উঠেছে। মানুষ স্পষ্টভাবে বলেছে, যারা মাটির সঙ্গে যুক্ত থাকবে এবং ভালো কাজ করবে তারাই টিকে থাকবে। একইসঙ্গে, তিনি দাবি করেছেন, ১০ বছরে দেশের ২৫ কোটি মানুষ দরিদ্রসীমার উপরে উঠে এসেছেন। এ প্রসঙ্গে, তৎকালীন সরকারকেও কটাক্ষ করেছেন মোদী।
আরও পড়ুন: ‘বাংলাদেশকে মোদীর হাতে ছেড়ে দেন’ ট্রাম্প, তারপরই ‘গল্প’ তত্ত্ব নিয়ে হাজির ইউনুস
এদিন মোদী বক্তব্য রাখতে গিয়ে বলেন, ‘বর্তমান সময়ের রাজনীতি পারফরমেন্স ভিত্তিক হয়ে গিয়েছে। জনগণ স্পষ্টভাবে বলে দিচ্ছে তারাই টিকে থাকবে যারা মাটির সঙ্গে জুড়ে থাকবে। সরকারের উচিত মানুষের সমস্যা নিয়ে সংবেদনশীল হওয়া। এটাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয়।’ এপ্রসঙ্গে আগের সরকারকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘আমাদের আগে যারা ক্ষমতায় ছিল তাদের হয়তো সংবেদনশীলতা এবং ইচ্ছাশক্তির অভাব ছিল।’
এদিন মোদী দিল্লির নির্বাচনের ফলাফলের কথা উল্লেখ করে বলেন, ফলাফল থেকে স্পষ্ট যে মানুষ ভারতের একটি উন্নত দেশ হওয়ার লক্ষ্যে একমত। মোদী আরও বলেন, কেন্দ্রে সরকার গঠনের পর অনেক রাজ্যে বিজেপি এবং এনডিএ মানুষের আশীর্বাদ পাচ্ছে। সাম্প্রতিক সময়ে বেশ কয়েকটি রাজ্যে নির্বাচনে জয়ের কথা উল্লেখ করে তিনি বলেন, উন্নত জাতির লক্ষ্য অর্জনে গতি গতি পেয়েছে এবং মানুষ প্রচেষ্টাকে সমর্থন করেছে। তিনি বলেন, ‘ওড়িশা, হরিয়ানা এবং দিল্লিতে মানুষ বিজেপি এবং এনডিএকে নির্বাচিত করেছে। মানুষ আমাদের বিপুল সংখ্যক সমর্থন করেছেন। এতে বোঝা যাচ্ছে যে দেশের মানুষ উন্নত ভারতের জন্য একসঙ্গে কাজ করছে।’
মোদী মানুষের সমস্যা সমাধানের ওপর জোর দেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের সরকার অনেক বেশি সংবেদনশীল। মানুষের সমস্যার প্রতি গুরুত্ব দিয়েছে। সেগুলি সমাধানের জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ করেছে। ১০ বছরে ২৫ কোটি ভারতীয় দারিদ্র থেকে মুক্ত হয়েছেন। এত বড় অংশ নতুন মধ্যবিত্তের অংশ হয়ে গিয়েছেন। এরা তাদের প্রথম গাড়ি বা বাড়ি কেনার স্বপ্ন দেখছেন। এই মধ্যবিত্তদের কথা মাথায় রেখে আমরা বার্ষিক ১২ লক্ষ আয় পর্যন্ত করে ছাড় দিয়েছি।