ঘণ্টা দেড়েকের বক্তৃতা। তার বেশিরভাগ সময়জুড়েই বিরোধীদের বিঁধলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। কটাক্ষের তালিকা থেকে বাদ পড়েননি পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও।
২০০৪ সালে সংসদে মমতার একটি বক্তৃতার প্রসঙ্গ টেনে মোদী বলেন, 'মমতাদিদিই আগে সংসদে অনুপ্রবেশকারীদের আটকানোর কথা বলতেন। এখন তিনি কলকাতা থেকে রাষ্ট্রপুঞ্জে পৌঁছে গেছেন। তারপরই কটাক্ষের সুরে বলেন, দিদি, ও দিদি আপনার হঠাৎ কী হল ? দিদি আপনি কেন বদলে গেলেন ? আপনি গুজব ছড়াচ্ছেন কেন ? ভোট তো যাবে, আসবে। আপনি কেন ভীত কেন?'
জাতীয় নাগরিকপঞ্জির (এনআরসি) বিরুদ্ধে প্রথম থেকেই সুর চড়িয়েছেন মমতা। বিজেপির তরফে পালটা বলা হয়, বাংলাদেশ থেকে যে অনুপ্রবেশকারীরা ভারতে ঢুকেছিল, তারা তৃণমূল কংগ্রেসের ভোটব্যাঙ্কে পরিণত হয়েছে। ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির জন্যই মমতা এনআরসির বিরোধিতা করছেন বলে বিজেপির তরফে অভিযোগ করা হয়। যদিও এনিয়ে মুখ খোলেননি মমতা। বরং সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন নিয়েও সরব হয়েছেন তিনি। কেন্দ্রের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ডাক দিয়েছেন।
এনিয়ে আজ দিল্লির রামলীলা ময়দানের সভা থেকে মমতাকে তোপ দেগে মোদী বলেন, 'বাংলার মানুষের উপর থেকে আপনার বিশ্বাস উঠে গেল কেন ? আপনি কাদের বিরোধিতা করছেন ও কাদের সমর্থন করছেন, তা সারা দেশের মানুষ দেখছেন।'
অন্যদিকে, মমতা-সহ আট মুখ্যমন্ত্রী সাফ জানিয়েছেন, তাঁদের রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন কার্যকর করা হবে না। এনিয়ে তাঁদের খোঁচা দিয়ে মোদী বলেন, 'কেউ কেউ বলছেন, নিজের রাজ্যে সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রয়োগ করবেন। আইনের বিষয়ে যাঁরা জ্ঞান আছে, তাঁদের সঙ্গে কথা বলুন। দরকারে বন্ধ ঘরেই বলুন। (রাজ্যের) অ্যাডভোকেট জেনারেলের সঙ্গে কথা বলুন। দেখুন এরকম করা যায় কি না।'