দিল্লিতে বিজেপির কাছে ধরাশায়ী হয়েছে অরবিন্দ কেজরিওয়ালের আম আদমি পার্টি। ৭০টি আসনের মধ্যে ৪৮টি আসনে জয়ী হয়ে দিল্লি দখল করেছে বিজেপি। দুর্দান্ত এই জয়ের পরে দিল্লিবাসীর উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী বিজয়ী ভাষণ দিতে পৌঁছান বিজেপির সদর দফতরে। সেখানে বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে বিরোধীদের একের পর এক নিশানা করছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু, তখনই গিয়ে ঘটল বিপত্তি। যারফলে মাঝপথে বক্তব্য থামিয়ে দিলেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও পড়ুন: দেনা হয়ে গিয়েছে আমাদের, এবার মেটাবে বিজেপি! দিল্লিতে জিতে এ কী বললেন মোদী?
আসলে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণ শোনার জন্য জনসভায় যোগ দিয়েছিলেন বহু বিজেপি কর্মী-সমর্থক। সেখানে প্রধানমন্ত্রী দিল্লি, হরিয়ানা, উত্তরপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিজেপির ক্ষমতায় আসার বিষয়ে বক্তব্য রাখছিলেন। ঠিক তখনই তিনি লক্ষ্য করলেন যে মঞ্চের সামনের সারিতে বসে থাকা একজন দলীয় কর্মী অসুস্থ বোধ করছেন। ভিড়ের মধ্যেও তা নজর এড়িয়ে যায়নি প্রধানমন্ত্রীর। তিনি বিষয়টি বুঝতে পেরে সঙ্গে সঙ্গে বক্তব্য থামিয়ে দলীয় কর্মীর খোঁজ নেন। প্রধানমন্ত্রী মোদী কর্মীর দিকে ইঙ্গিত করে হিন্দিতে বলেন, ‘ও কি ঘুমিয়ে পড়েছে নাকি অসুস্থ? দয়া করে ওকে একটু দেখুন। একটু জল দিন। ও অসুস্থ মনে হচ্ছে। দয়া করে ওর দেখাশোনা করুন। ওকে দেখে অসুস্থ মনে হচ্ছে। তখন সঙ্গেসঙ্গে অন্যান্য কর্মীরা তাঁকে জল দেন। কর্মী জলপান করার পর সুস্থ থাকার ইঙ্গিত দিলে মোদী পুনরায় বক্তৃতা শুরু করেন। প্রধানমন্ত্রীর এমন মানবিকতায় মুগ্ধ হয়েছেন বিজেপি কর্মী সমর্থকরা। অনেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় মোদীর এই তৎপরতার ভিডিয়ো তুলে ধরেছেন।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘স্বাধীনতার পর এই প্রথমবারের মতো দিল্লি এনসিআরের সমস্ত রাজ্যে বিজেপি সরকার গঠন করেছে। এই সমস্ত অঞ্চলে উন্নয়নের অসংখ্য পথ খুলে দেবে। আমাদের প্রচেষ্টা হবে সমগ্র অঞ্চলে গতিশীলতা এবং পরিকাঠামোর উপর জোর দেওয়া। এই অঞ্চলের যুব প্রজন্ম যাতে সাফল্যের জন্য অনেক সুযোগ পান তা নিশ্চিত করা।’
আপকে নিশানা করে মোদী বলেন, ‘দুর্নীতির বিরুদ্ধে আন্দোলনের মধ্য দিয়ে জন্ম নেওয়া দলটি নিজেদের দুর্নীতিতে ডুবিয়ে দিয়েছে। মদ কেলেঙ্কারি দিল্লির ভাবমূর্তির জন্য কলঙ্কজনক ছিল।’ এছাড়াও ২০১৪ সালের পর থেকে দিল্লিতে লোকসভা বা বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস খাতা খুলতে না পারার জন্যও তাদের কটাক্ষ করেন মোদী।