ধান বিক্রি করলেন বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী। কথাটা শুনতে কিছুটা খটকা লাগলেও এটা বাস্তব। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তাঁর পৈত্রিক জমির ধান বিক্রি করেছেন। সব মিলিয়ে ধান বিক্রি করে তিনি ৯৬ হাজার টাকা পেয়েছেন বলে খবর। গত ২৮ শে মে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ার উপজেলার পূবের বিলে দ্বিতীয় দফায় উৎপাদিত এই ধান খাদ্য গুদামে বিক্রি করা হয়। বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন টন বারো মণ ধান বিক্রি করেছেন।
এনিয়ে বাংলাদেশের সংবাদমাধ্যমে টুঙ্গিপাড়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা রাকিবুল ইসলাম জানিয়েছেন, দীর্ঘদিন ধরে উপজেলার পূবের বিলে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পৈতৃক জমি অনাবাদী হিসাবে পড়েছিল। প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে এক ইঞ্চি কৃষি জমিও অনাবাদী রাখা যাবে না। প্রধানমন্ত্রীর উদ্যোগে গত মরসুম থেকে সমবায় ভিত্তিতে ওই জমিতে চাষ শুরু হয়েছিল। সেখানে চাষ হচ্ছে দেখে প্রতিবেশীরাও পূবের বিলে অনাবাদী জমিতে চাষাবাদ শুরু করেন।
সূত্রের খবর, গত মরসুমে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী তাঁর পৈত্রিক ১৭ বিঘা জমি থেকে ১৫০ মন ধান পেয়েছিলেন।
লটারির মাধ্য়মে বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী নিজের নামে তিন মেট্রিক টন ধান বিক্রি করেছেন।
বাংলাদেশের সংবাদমাধ্য়ম সূত্রে জানা গিয়েছে, টুঙ্গিপাড়া খাদ্য গুদামের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা জানিয়েছেন, প্রধানমন্ত্রী তিন টন ধান সরকারি খাদ্য গুদামের কাছে সরকারি নির্ধারিত মূল্যে বিক্রি করেছেন। সেই ধান বিক্রি করে ৯৬ হাজার টাকা প্রধানমন্ত্রীর ব্যাংক অ্য়াকাউন্টে অনলাইনে পাঠানো হয়েছে।
তবে যে এলাকায় চাষ আবাদ হয়েছে সেখানকার পাশাপাশি জমির মালিকরাও ধান চাষ করেছেন। সেই ধান তাঁরা বিক্রিও করেছেন বলে খবর।