ক্রমশ কমছে জনপ্রিয়তা। নিজের দলের লোকেরাই বলছেন যে এবার মানে মানে বিদায় নিন। কিন্তু এত সহজে বিদায় নিতে নারাজ নেপালের প্রধানমন্ত্রী কেপি শর্মা ওলি। সেই কারণে এবার কোভিডের ছুতো দিয়ে কিছুটা সময় কিনতে চাইছেন তিনি। যদিও এই অভিপ্রায়ে বাধ সেধেছেন স্বয়ং দেশের রাষ্ট্রপতি!
সারা দেশে স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি ঘোষণা করতচে চেয়ে রাষ্ট্রপতি বিদ্যা ভাণ্ডারির সঙ্গে দেখা করেছিলেন কেপি শর্মা ওলি। হিন্দুস্তান টাইমস সূত্রে খবর, ওলির এই প্রস্তাবে খুব বেশি ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখাননি রাষ্ট্রপতি। তিনি বলেন যে আগে নিজেদের মধ্যে লড়াই বন্ধ করুন, সুস্থির করুন সরকারকে। নেপালের সেনাও কোভিড মোকাবিলায় দেশে স্বাস্থ্য এমার্জেন্সি ঘোষণা করার বিশেষ পক্ষপাতী নয়।
দফায় দফায় বৈঠক করেও নেপালে এখনও কোনও সমাধানসূত্র মেটেনি শাসক দলের দুই চেয়ারম্যানের মধ্যে। প্রচণ্ড নিজের অবস্থান থেকে সরছেন না। তিনি চান একনয় গদি ছাড়ুন ওলি নয়তো দলের দায়িত্ব থেকে ইস্তফা দিন তিনি। কিন্তু তাতে নারাজ প্রধানমন্ত্রী। অনেকবার পিছিয়ে যাওয়ার পর আগামিকাল স্ট্যান্ডিং কমিটির বৈঠক আছে। তার ওপরেই এখন সবার নজর। অধিকাংশ সদস্য ওলির বিরোধী। কিন্তু তাঁর বিরুদ্ধে কোনও সিদ্ধান্ত নিতে গেলে তার সই লাগবে যেহেতু তিনি দলের কো-চেয়ারম্যান। এখানেই আটকে যাচ্ছে পুরো বিষয়টি।
অন্যদিকে কোনও ভাবে ওলির গদি বাঁচাতে বৈঠক করে বেড়াচ্ছেন চিনের রাষ্ট্রদূত হৌ ইয়াংকি। যেভাবে তিনি নেপালের আভ্যন্তরীণ বিষয়ে মাথা গলাচ্ছেন, তাই নিয়ে ইতিমধ্যেই অনেক প্রশ্ন উঠে গিয়েছে।