বিধানসভা নির্বাচন হবে যে রাজ্যগুলিতে সেখানে ভ্যাকসিন শংসাপত্রে থাকবে না প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক বলে সংবাদসংস্থা পিটিআই জানিয়েছে। এই নিয়ে নির্বাচন কমিশনের কাছে প্রথম নালিশ ঠুকেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। তাঁরা কমিশনে অভিযোগ করেছিল করোনা ভ্যাকিসন শংসাপত্রে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি দিয়ে প্রচার চালাচ্ছে বিজেপি। নির্বাচনের নির্ঘণ্ট ঘোষণা হযে যাওয়ার পর তা করা যায় না। তারপরেই নির্বাচন কমিশনের পক্ষ থেকে ভ্যাকসিন শংসাপত্র থেকে মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
করোনা ভ্যাকসিন সার্টিফিকেটে দেওয়া থাকছে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি। আর তার জেরে ভোটমুখী ৫ রাজ্যে এভাবে বিজেপির প্রচার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। নির্বাচন কমিশন এই বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ চিঠি দিয়ে জানিয়ে দেন, তাঁরা কমিশনের নির্দেশ অক্ষরে অক্ষরে পালন করছে। তারপরেই নির্বাচন কমিশনের নির্দেশ মেনে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর ছবি সরানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক। পশ্চিমবঙ্গ, তামিলনাড়ু, কেরল, অসম এবং পুদুচেরি এই পাঁচ রাজ্যের জন্যই এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্যসভার সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েন এই শংসাপত্রে মোদীর ছবি নিয়ে নির্বাচন কমিশনে নালিশ জানিয়েছিলেন। অভিযোগে তৃণমূল কংগ্রেসের পক্ষ থেকে বলা হয়েছিল, করোনা পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী নিজের ছবি দিয়ে ক্রেডিট নেওয়ার চেষ্টা করছেন। যেখানে কাজ করেছেন চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মীরা। তখনই নড়েচড়ে বসে কমিশন। অভিযোগে সঠিক বুঝেই কমিশন ভ্যাক্সিন শংসাপত্র থেকে প্রধানমন্ত্রী মোদীর ছবি সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেয়।
করোনা টিকাকরণ কর্মসূচি ভোটমুখী রাজ্যগুলিতে যত দ্রুত সম্ভব শেষ করতে বলা হয়েছে। সব ভোটকর্মীকে করোনা টিকাকরণ শেষ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানদেরও করোনা টিকাকরণ করা হচ্ছে। উল্লেখ্য, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে ইস্তেহারে বিনামূল্যে করোনা ভ্যাকসিন দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল বিজেপি। বাংলার ক্ষেত্রেও সেরকম কোনও প্রতিশ্রুতি বাংলার ভোটে বিজেপি দেবে কিনা এই নিয়ে জল্পনা চলছে।