ভারতীয় সেনাবাহিনীকে ভবিষ্যতের শক্তি হিসাবে গড়ে তোলার জন্য দেশের শীর্ষ সামরিক নেতৃত্বের কাছে আর্জি জানালেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। যে ভাবে প্রযুক্তি বদলাচ্ছে, তার সঙ্গে হাত মিলিয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার গতি বৃদ্ধি করে ও সামরিক ও অসামরিক প্রশাসনের মধ্যে দেওয়াল ভেঙে এই কাজটি করা সম্ভব বলে জানান মোদী। গুজরাতে সরদার প্যাটেল মূর্তির কাছে অনুষ্ঠিত কমবাইনড কম্যান্ডার্স কনফারেন্সে এই কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।
কেভাদিয়াতে মোদী বলেন যে মিলিটারির তিন শাখাকে পুরনো পদ্ধতি ও প্রক্রিয়াকে ঝেড়ে ফেলতে হবে। গত এক বছরে যেভাবে সেনা এলএসিতে কাজ করেছে ও কোভিড পরিস্থিতির মধ্যে নিজেদের দায়িত্ব পালন করছে তার প্রশংসা করেন মোদী। তিন দিন ধরে কি আলোচনা হয়েছে সেটা মোদীকে জানান চিফ অফ ডিফেন্স স্টাফ বিপিন রাওয়াত।
জাতীয় সুরক্ষা ব্যবস্থায় দেশীয় প্রক্রিয়া অবলম্বনের ওপর জোর দেন মোদী। সেটা শুধু অস্ত্র নয় রণকৌশলের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য বলে জানান তিনি। টুইটারে মোদী বলেন যে প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রকে আত্মনির্ভর করতে সরকার যে সব রকমের সাহায্য করবে সেটা তিনি জানিয়েছেন। এর আগে এই কনফারেন্স সবসময় দিল্লিতে হতো। মোদী সরকার আসার পর থেকেই ঘুরিয়ে ঘুরিয়ে বিভিন্ন স্থানে এটি হয়। মোদী বলেন যে দেশের স্বাধীনতার ৭৫ বছর উদযাপনের ক্ষেত্রে সেনার এমন কিছু অনুষ্ঠান করা উচিত যেটা তরুণদের উজ্জীবিত করবে। সেই সব অনুষ্ঠানে অবসরপ্রান্ত সেনাকর্মীদেরও অন্তর্ভুক্ত করার পরামর্শ দেন তিনি।
তিনদিনের আলোচনায় এই প্রথম কিছু তরুণ অফিসার ও মধ্যপদাধিকারীদেরও অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছিল। তাদের থেকেও ভবিষ্যতে কীভাবে এগোনো যায় সেই নিয়ে সাজেশন চাওয়া হয়। সেনা যে ঢেলে সংস্কার আনছে আগামী কিছু বছরে, সেই মিলিটারি থিয়েটারাইজেশন নিয়ে বিস্তারিত আলোচনা হয়েছে বলে জানা গিয়েছে। কনফারেন্সের আগেই বিপিন রাওয়াত বার্তা দিয়েছিলেন যে এই নিয়ে সরকারের যা পরিকল্পনা সেটার সঙ্গে খাপ খাওয়াতে হবে সেনাকর্তাদের। সেটা কত দ্রুত করা যায়, সেই নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এছাড়াও অস্ত্র নির্মাণে আমদানির নির্ভরতা কমানোর বিষয়টির ওপরেও জোর দেওয়া হয়।