পৃথক কোচবিহার রাজ্য়ের দাবিতে দীর্ঘদিন ধরেই সরব গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ। তবে বছরের পর বছর ধরে যে কথা তিনি বলে আসছেন তা ফের সংসদ চত্বরে সাংবাদিকদের সোচ্চারে বললেন অনন্ত মহারাজ( রায়)। তবে গোটা দেশজুড়ে যখন এই পৃথক রাজ্য়ের দাবিকে ঘিরে একেবারে শোরগোল পড়ে যাচ্ছে তখনই ফের সামনে এল অনন্ত মহারাজের এই বক্তব্য।
রাজ্যসভার সাংসদ তথা গ্রেটার নেতা অনন্ত মহারাজ বলেন, 'উত্তরবঙ্গ তো বাংলা নয়। ভাষা, কালচার সব আলাদা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর অফিস থেকে বলে দিয়েছে গৃহ মন্ত্রণালয়কে রাজ্যটা বানিয়ে দেওয়ার জন্য। এটা তো গভর্নমেন্টকে বলছি। দেরি কেন করছেন!'
তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, এই প্রথমবার অনন্ত রায় এমন কথা বললেন তা কিন্তু নয়। ইউপিএ সরকারের আমলেও দিল্লি থেকে ফিরে গিয়ে গ্রেটার নেতারা ঠিক একই কথা বলতেন যে, রাজ্য তৈরির ব্যাপারে মৌখিক আশ্বাস মিলেছে।
তবে এবার একেবারে রাজ্য তৈরির ব্যাপারে মোদীর দফতরের নির্দেশের কথা উল্লেখ করলেন তিনি। এই কথা শুনে অনেকেই ভিড়মি খাওয়ার অবস্থা। তবে অভিজ্ঞ মহলের মতে, বছরের পর বছর ধরে গ্রেটার নেতারা এই ধরনের বক্তব্যই তাঁদের অনুগামীদের সামনে বলেন। তবে এবার একেবারে সংসদ চত্বরে দাঁড়িয়ে অনন্ত মহারাজ খোদ প্রধানমন্ত্রীর দফতরের নাম উল্লেখ করে যা বললেন তা নিঃসন্দেহে তাৎপর্যপূর্ণ।
তবে বিজেপির একাধিক নেতৃত্ব অবশ্য় অনন্তর সঙ্গে একমত নন। তাতে অবশ্য় অনন্ত মহারাজের বক্তব্যের বিশেষ কিছু বদল হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে। কারণ রাজনৈতিক মহলের মতে, পৃথক রাজ্যের দাবিকে সামনে রেখেই অনন্ত রায় এত বড় সংগঠন তৈরি করেছেন। এমনকী সেই সংগঠনের নেতা যদি সেই দাবি থেকে সরে আসে তবে জনভিত্তি একেবারে তলানিতে নেমে আসবে। সেকারণে বছরের পর বছর ধরে অনন্ত রায় সহ একাধিক গ্রেটার নেতা এই ধরনের বিবৃতি দিয়ে এসেছেন।
তবে রাজ্যসভার সাংসদ হিসাবে অনন্ত রায়ের এই বক্তব্যকে ঘিরে স্বাভাবিকভাবেই শোরগোল পড়েছে। কারণ অনন্ত রায় তিনি বর্তমানে আর কেবলমাত্র গ্রেটার নেতা নন, তাঁর একটা বড় পরিচয় হল তিনি রাজ্যসভার সাংসদ। বিজেপির সহায়তায় রাজ্যসভায় এসেছেন তিনি। কিন্তু তিনি আখেরে বিজেপির প্রতি কতটা কৃতজ্ঞ তা নিয়েও প্রশ্নটা থেকেই গিয়েছে।
গত এপ্রিলে অনন্ত মহারাজ বলেছিলেন, আমাদের ইউটি ডিমান্ড নয়। কেন্দ্রশাসিত অঞ্চল সরকারের কমিটমেন্ট। আমরা স্টেট চেয়েছি। কিন্তু কে বলছে সেটা সংবিধানের স্টেট সিডিউলে নেই। এটা তো স্টেট গভর্নমেন্ট করবে না। কেন্দ্রকেই করতে হবে।