বাড়ানো হোক অবসরের বয়সসীমা। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে এই প্রস্তাবই করল অর্থনৈতিক উপদেষ্টা পরিষদ। পরিষদের তরফে মোদীকে জানানো হয়, সময়ের সাথে সাথে দেশের স্বাস্থ্য ব্যবস্থার উন্নতি ঘটেছে। মানুষের আয়ুকাল বেড়েছে। এর ফলে মানুষ আরও বেশি বয়স পর্যন্ত কাজ করতে সমর্থ হবে।
কাউন্সিলের চেয়ারম্যান বিবেক দেবরায়ের তরফে গত বুধবার একটি রুপোর্ট প্রকাশ করা হয়। তাতে বলা হয়, 'অবসর গ্রহণের বয়স বৃদ্ধির ফলে বর্তমান কর্মীদের চাকরির সুযোগের ক্ষেত্রে আপোস না করেই বয়স্ক ব্যক্তিদের চাহিদা মেটাতে কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা যাবে।'
এদিকে রিপোর্টে ৫০ থেকে ৬০ বছর বয়সীদের দক্ষতা বৃদ্ধির উপর জোর দেওয়া হয়েছে। 'হেল্প এজ ইন্টারন্যাশনালে'র তথ্য অনুযায়ী ২০১৯ সালে ভারতের প্রায় ১৩.৯ কোটি মানুষ ষাটোর্ধ্ব ছিলেন। তা মোট জনসংখ্যার নিরিখে ১০ শতাংশ। ২০৫০ সালে ভারতের মোট জনসংখ্যার ১৯.৫ শতাংশই হবেন ষাটোর্ধ্ব।
কেরলে ষাটোর্ধ্ব ব্যক্তির হার সব থেকে বেশি। সেরাজ্যের মোট জনসংখ্যার ১২.৫ শতাংশ হলেন বৃদ্ধ। এরপরই এই তালিকায় আছে গোয়া। সেই রাজ্যে শাটোর্ধ্ব ১১.২ শতাংশ মানুষ। তামিনাড়ুর মোট জন্সংখ্যার ১০.৪ শতাংশ হলেন ষাটোর্ধ্ব। এদিকে দক্ষিণের রাজ্যগুলিতে বার্ধক্যের হার যেরকম বেশি সেরকমই জ্মের হার মাত্র ১.৭।