বাংলাদেশের কক্সবাজারে স্কুল ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় নাম জড়াল গেস্ট হাউজের ম্যানেজারের। 'মমস গেস্ট হাউস' নামের ওই গেস্ট হাউসে আটকে রেখে লাগাতার দুদিন ধরে স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছিল। ইতিমধ্যেই এই তথ্য পেয়ে পুলিশ গেস্ট হাউসের অভিযুক্ত ম্যানেজার মুহাম্মদ শাহিনকে গ্রেফতার করেছে। এই ঘটনায় মূল অভিযুক্ত মুহামদ আশিককে আগেই গ্রেফতার করা হয়েছে।
পুলিশ সূত্রে জানা যাচ্ছে, গত ১৩ ডিসেম্বর ওই স্কুলছাত্রী রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় আশিক সহ কয়েকজন তাকে গাড়িতে করে জোর করে তুলে নিয়ে যায়। এরপর অভিযুক্তরা মমস গেস্ট হাউসে তাকে দুদিন ধরে আটকে রেখে শারীরিক নিগ্রহ করে। এই ঘটনায় পরিবারের সদস্যরা অভিযোগ দায়ের করার পরে বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে অবশেষে ওই গেস্ট হাউজ থেকে নাবালিকাকে উদ্ধার করে পুলিশ। সেইসঙ্গে, গ্রেফতার করে মূল অভিযুক্ত মুহাম্মদ আশিককে। তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ জানতে পারে গেস্ট হাউসের ম্যানেজারও এই ধর্ষণের ঘটনায় জড়িত রয়েছে। এছাড়াও আরও বেশ কয়েকজন জড়িত রয়েছে এই ধর্ষণের ঘটনায়। ধৃতকে জিজ্ঞাসাবাদ করে পুলিশ গেস্ট হাউসের ম্যানেজার মুহাম্মদ শাহিন এবং মুহাম্মদ কামরুল নামে আরও দুজনকে গ্রেফতার করে। অন্যদিকে, পরিবারের অভিযোগ, অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার পরেই তাদের নানাভাবে হুমকি দিচ্ছেন অভিযুক্তরা। ইতিমধ্যেই, এ বিষয়ে তারা পুলিশকে জানিয়েছে।
প্রসঙ্গত, সম্প্রতি একাধিক সংস্থার রিপোর্টে উঠে এসেছে বাংলাদেশে নারী নিগ্রহের উদ্বেগজনক চিত্র। বিভিন্ন সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে ধর্ষণ এবং নারী নিগ্রহের মতো ঘটনা বাড়ছে। সেক্ষেত্রে কক্সবাজারের মতো জায়গায় স্কুলছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় মহিলাদের নিরাপত্তা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে।