যত দিন যাচ্ছে, ততই বাড়ছে সাইবার প্রতারণা। নানাভাবে তথ্য হাতিয়ে অথবা সিবিআই, কেন্দ্রীয় আধিকারিক পরিচয় দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকার প্রতারণা করছে সাইবার প্রতারকরা। সাধারণ মানুষকে বটেই বড় বড় শিল্পপতিদেরও টার্গেট করছে এই সাইবার দুষ্কৃতীরা। এবার সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন বর্ধমান গ্রুপের চেয়ারম্যান এসপি ওসওয়াল। ভিন রাজ্যের একটি সাইবার প্রতারণা চক্র তাঁর কাছ থেকে ৭ কোটি টাকা প্রতারণা করে। ঘটনাটি ঘটেছে পঞ্জাবের লুধিয়ানায়। জানা গিয়েছে, প্রতারণা চক্রের সদস্যরা নিজেদের সিবিআই আধিকারিক পরিচয় দিয়ে এবং ভুয়ো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখিয়ে চেয়ারম্যানের কাছে এই টাকা প্রতারণা করেছে। এই ঘটনায় দুজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
আরও পড়ুন: ‘ক্যাব ভাড়ার জন্য ৫০০ ধার দিন’, CJI- এর নাম করে টাকা চেয়ে মেসেজ, অভিযোগ পুলিশে
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, বর্ধমান গ্রুপের চেয়ারম্যানের কাছে প্রতারকরা নিজেদের সিবিআই আধিকারিক বলে পরিচয় দিয়েছিল। এরপর শিল্পপতি ওসওয়ালকে অনলাইনে একটি ভুয়ো গ্রেফতারি পরোয়ানা দেখিয়ে গ্রেফতারের হুমকি দেয়। পরে, প্রতারকরা ৭ কোটি টাকা নেয় চেয়ারম্যানের কাছে। কোম্পানির বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে বিপুল পরিমাণ অর্থ স্থানান্তর করা হয় তাদের। পরে সাইবার ক্রাইম বিভাগের কাছে অভিযোগ জানান চেয়ারম্যান। তাঁর অভিযোগ দায়ের করার পরেই তদন্তে নেমে পুলিশ দুজনকে গ্রেফতার করে। তাদের কাছ থেকে ৫.২৫ কোটি টাকা উদ্ধার হয়েছে।
পুলিশ এই চক্রের বেশ কয়েকজন সদস্যকে শনাক্ত করেছে। জালিয়াতির ঘটনায় চিহ্নিত সাতজন সাইবার প্রতারক অসম ও পশ্চিমবঙ্গের বাসিন্দা বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। জানা গিয়েছে, জালিয়াতির মামলার প্রধান অভিযুক্ত আতনু চৌধুরী এবং আনন্দ কুমার চৌধুরী গুয়াহাটির বাসিন্দা। এর মূলত বিভিন্ন ভিন রাজ্যের সাইবার প্রতারণা চক্রের সঙ্গে জড়িত। তারা মূলত শিল্পপতি এবং অন্যান্য লোকেদের টার্গেট করে থাকে।
লুধিয়ানার পুলিশ কমিশনার কুলদীপ সিং চাহাল জানিয়েছেন, আন্তঃরাজ্য সাইবার প্রতারণা চক্রের দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে । বাকি টাকা উদ্ধারের চেষ্টা করা হচ্ছে।উল্লেখ্য, এক সপ্তাহ আগেই একই ধরনের ঘটনা ঘটেছিল পঞ্জাবে। এক শিল্পপতিকে টার্গেট করেছিল সাইবার প্রতারকরা। তাঁর কাছ থেকে ১ কোটি টাকা প্রতারণা করা হয়েছিল। রজনীশ আহুজা নামে ওই শিল্পপতিকে একইভাবে ভুয়ো আধিকারিক পরিচয় দিয়ে গ্রেফতারির হুমকি দিয়েছিল প্রতারকরা। তখন গ্রেফতার হয়ে যাওয়ার ভয়ে ওই শিল্পপতি বিভিন্ন ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টে টাকা স্থানান্তর করেছিলেন।