গত ১১ অক্টোবর দিল্লিতে মহিলা গবেষককে গণধর্ষণের ঘটনায় তিন জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এখনও পর্যন্ত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মহিলা। তবে তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল এই গণধর্ষণের ঘটনায় ধৃতরা তিনজন কেউ একে অপরকে চিনত না। অভিযুক্ত তিনজনের মধ্যে একজন ছিল ভিখারি, সে আবার প্রতিবন্ধী এবং অন্যজন কাগজ কুড়িয়ে বেড়ায়। এদের নাম হল যথাক্রমে মহম্মদ শামসুল ওরফে রাজু ও প্রমোদ কুমার ওরফে বাবু। আর শেষে মহিলাকে ধর্ষণ করে অটো চালক প্রভু মাহাতো।
আরও পড়ুন: মহিলাকে ধর্ষণ করে ফেলে দেওয়া হল রাস্তায়, ভয়ঙ্কর অভিযোগ রাজধানী দিল্লিতে
দিল্লি পুলিশের ডিসিপি (দক্ষিণ-পূর্ব) রবি কুমার সিং জানান, অভিযুক্ত তিনজন কেউ একে অপরকে চিনত না। তবে এদের মধ্যে রাজু এবং বাবু দুজনেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। তারা মহিলাকে একা পেয়ে সহজ লক্ষ্যবস্তু ভেবে ধর্ষণের চক্রান্ত করেছিল। তারা দুজনে তাকে জোর করে একটি নির্জন জায়গায় নিয়ে গিয়ে মারধর করে এরপর ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী ছিল অটো চালক। সে ঘটনার প্রতিবাদ না করে বা পুলিশকে না জানিয়ে মহিলাকে অটোতে তুলে ধর্ষণ করে।এরপর তাকে সরাই কালে খানে নামিয়ে দেয়।
সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখে এই মামলায় গুরুত্বপূর্ণ তথ্য উদ্ধার করেছে পুলিশ। প্রথমে অটো চালককে গ্রেফতার করা হয়। পরে বাকি দুজনকে গ্রেফতার করে পুলিশ। ঘটনার সময় অভিযুক্তরা যে পোশাক পরেছিল সেগুলিও বাজেয়াপ্ত করেছে পুলিশ।
মামলার গুরুত্বপূর্ণ প্রমাণ হিসেবে সিসিটিভি ফুটেজ সংরক্ষণ করা হয়েছে। পুলিশের একজন আধিকারিক জানান, গত ১১ অক্টোবর ভোরের দিকে এক পথচারীর কাছ থেকে ফোন পেয়ে মহিলাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। মহিলা চিকিৎসকদের জানিয়েছিলেন তাকে ধর্ষণ করা হয়েছে। তাঁর গোপনাঙ্গে আঘাতের চিহ্ন ছিল। ঘটনায় পুলিশ মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করে। তদন্তে নেমে পুলিশ প্রথমে অটো চালককে গ্রেফতার করে। পরে ওই দুজনকে গ্রেফতার করে। জিজ্ঞাসাবাদের সময়, বাবু পুলিশকে জানায় যে সে মদের নেশায় আসক্ত ছিল। ওই দিন সে ওই এলাকায় মহিলাকে একা বসে থাকতে দেখেছিল। কিছুক্ষণ পরেই সেখানে এসেছিল ওই ভিখারি। এরপর তারা দুজনেই মেয়েটিকে ধর্ষণের সিদ্ধান্ত নেয়। তারা ভেবেছিল মেয়েটি মানসিকভাবে অসুস্থ এবং একটি সহজ লক্ষ্যবস্তু। এরপর তারা একসঙ্গে মহিলাকে জোর করে একটি নির্জন এলাকায় টেনে নিয়ে যায় এবং ধর্ষণ করে। অটো চালক মাহতো সেটি দেখেছিল। পরে সে মেয়েটিকে জোর করে অটোতে তুলে নিয়ে ধর্ষণ করে।