গোপনে প্রেমিকের সঙ্গে যুবতীর ছবি তোলার পর বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরেই ব্ল্যাকমল করে ধর্ষণের অভিযোগ উঠল অন্য এক যুবকের বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে চেন্নাইয়ের আন্না বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে। নির্যাতিতা বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় বর্ষের ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের ছাত্রী। ঘটনায় অভিযোগ পাওয়া মাত্রই পুলিশ ওই যুবককে গ্রেফতার করেছে। তবে এই ঘটনায় ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা নিয়ে উঠেছে প্রশ্ন। শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।
আরও পড়ুন: আলিপুরদুয়ারে শিশুকন্যাকে 'ধর্ষণ করে খুন', সমাজ সংস্কারের বার্তা কুণাল ঘোষের
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, অভিযুক্তের ক্যাম্পাসের কাছে একটি রাস্তার ধারে হোটেল রয়েছে। ধর্ষণের অভিযোগ পেয়ে তাকে বুধবার গ্রেফতার করা হয়। অভিযোগে বলা হয়েছে জ্ঞানসেকরন নামে ওই অভিযুক্ত ওই যুগলের অন্তরঙ্গ মুহূর্তগুলির ছবি ও ভিডিয়ো বেশ কয়েকদিন ধরেই রেকর্ড করছিল। এরপর সে যুবতীর প্রেমিক তথা ওই বিশ্ববিদ্যালয়েরই তৃতীয় বর্ষের ছাত্রকে ভয় দেখিয়ে সেখান থেকে চলে যায়। একইসঙ্গে যুবতীর ফোন নম্বর সংগ্রহ করে। সে যুবতীকে তার প্রেমিকের সঙ্গে আর মেলামেশা না করার জন্য হুমকি দেয়। এমনকী জানিয়ে দেয় যখনই সে ডাকবে যেন তার সঙ্গে ওই যুবতী দেখা করে। পরে সে ওই ছবি ও ভিডিয়ো ফাঁস করে দেওয়ার হুমকি দিয়ে যুবতীকে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ।
এই ঘটনার পরেই ক্যাম্পাসের নিরাপত্তা বাড়ানোর ওপর জোর দিয়েছে পুলিশ এবং বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পুলিশের তরফে জানানো হয়েছে, নিরাপত্তা সংক্রান্ত বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করা হবে। তারপরে নিরাপত্তা জোরদার করা হবে।
এদিকে, বিষয়টি প্রকাশ্যে আসতে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক তরজা।এআইএডিএমকের সাধারণ সম্পাদক এডাপ্পাদি কে পালানিস্বামী, বিজেপির রাজ্যের প্রধান কে আন্নামালাই, পিএমকের প্রতিষ্ঠাতা ডক্টর এস রামাদোস এবং এএমএমকে প্রধান টিটিভি ধিনাকরণ সহ বিরোধীর এমকে স্ট্যালিনের নেতৃত্বাধীন ডিএমকে সরকারের তীব্র নিন্দা করেছে। এই সরকারের আমলে শিক্ষাঙ্গনে নিরাপত্তার অবনতি হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছেন।এদিকে, রাজ্যের উচ্চশিক্ষা মন্ত্রী গোভি চেজিয়ান বলেছেন, যে অপরাধের পুনরাবৃত্তি যাতে না ঘটে তা নিশ্চিত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হবে। এনিয়ে রাজনীতি করা উচিত নয়।
তদন্তকারীরা বলেছেন ক্যাম্পাসের একটি নির্জন অংশে একটি পুরানো বিল্ডিংয়ের পিছনের দিকে এই ঘটনা ঘটেছে। উল্লেখ্য, এর আগেও ক্যাম্পাসে এই ধরনের ঘটনা ঘটেছে। ২০১১ সালে ক্যাম্পাসে এক যুবতীকে যৌন হয়রানির অভিযোগে একজনকে গ্রেফতার করেছিল পুলিশ। এদিনের ঘটনায় তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে নমুনা সংগ্রহ করেছেন এবং জ্ঞানসেকারনের মোবাইল ফোন খতিয়ে দেখছেন। তদন্তকারীদের দাবি, অভিযুক্ত এর আগেও বেশ কয়েকজন যুবতীর ছবি তুলে এভাবে ব্ল্যাকমেল করেছে।