ঘটনাস্থল আবার ত্রিপুরার আমবাসা। সেখানে রাতের অন্ধকারে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়িতে তাণ্ডব চালাল পুলিশ বলে অভিযোগ। আর এই ঘটনা নিয়ে টুইটে বিস্ফোরক অভিযোগ করলেন তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য সম্পাদক কুণাল ঘোষ। তিনি জানান, বুধবার মাঝরাতে বেশ কয়েকজন তৃণমূল কংগ্রেস কর্মী এবং দেবাংশু ভট্টাচার্যর গাড়ির চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাঁদের জামিনঅযোগ্য মিথ্যে মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। রাতারাতি এই টুইটে ঝড় উঠতে শুরু করে রাজনীতিতে।
এদিন প্রথম টুইটে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘আমবাসায় চলল রাতভর পুলিশি তাণ্ডব। তৃণমূল কংগ্রেসের সেদিনের গাড়ির চালক–সহ একাধিক সদস্যকে গ্রেফতার করা হয়েছে। জয়া, সুদীপ, দেবাংশু–সহ সেদিন জামিনপ্রাপ্তদের নতুন করে গ্রেফতারের ছক।’ সুতরাং ফের অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠেছে উত্তর–পূর্ব রাজ্য ত্রিপুরা। ইতিমধ্যেই পুলিশ অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়–সহ চার প্রথমসারির নেতা–মন্ত্রীদের নামে স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করেছে। তার মধ্যেই এই ঘটনা শোরগোল ফেলে দিয়েছে।
এদিন কুণাল ঘোষ আরও অভিযোগ করেন, বিজেপি নেতারা তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি চিহ্নিত করে দিচ্ছেন। আর সেইসব বাড়িতে রাতভর তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। একটি ভিডিও শেয়ার করে কুণাল ঘোষ লেখেন, ‘রাতে তৃণমূল কংগ্রেস কর্মীদের বাড়ি বাড়ি পুলিশের হানা। তুলে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। অন্ধকারে অতিসক্রিয়তা। অন্ধকারের জীবদের মতো আচরণ। গুন্ডারাজ, পুলিশরাজ দিয়ে মানুষের আন্দোলনকে ঠেকানো যাবে না। হামলা থেকে মামলা, যত এসব করবে, তত বোঝা যাবে, ভয় পেয়েছে বিজেপি।’
উল্লেখ্য, বুধবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়, দোলা সেন, ব্রাত্য বসু, কুণাল ঘোষদের বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করে খোয়াই থানার ওসি মনোরঞ্জন দেববর্মা। অভিযুক্তের তালিকায় নাম রয়েছে ত্রিপুরার তৃণমূল কংগ্রেস নেতা সুবল ভৌমিক ও প্রকাশ দাসের। অভিযোগ, থানায় বসে পুলিশের কাজে বাধা দিয়েছেন তাঁরা। দেবাংশু ভট্টাচার্য, জয়া দত্ত এবং সুদীপ রাহাদের আদালতে নিয়ে যেতে বাধা দিয়েছেন তাঁরা। ৬ তৃণমূল কংগ্রেস নেতার বিরুদ্ধে স্বতঃপ্রণোদিতভাবে মামলা দায়ের করে পুলিশ।