ফের একবার ছত্তিশগড়ে মাওদমন অভিযান চালিয়ে সাফল্য পেল নিরাপত্তাবাহিনী। মৃত্যু হল এক মহিলা ক্যাডার-সহ দুই মাওবাদীর। শনিবার ছত্তিশগড়ের সুকমায় এই ঘটনা ঘটে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে।
পুলিশের দাবি অনুসারে, এই ঘটনায় শুধুই যে দুই মাওবাদীকে খতম করা সম্ভব হয়েছে, তাই নয়। সেইসঙ্গে, ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র-সহ অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ নানা সামগ্রীও উদ্ধার করা হয়েছে। যার সঙ্গে মাওবাদীদের প্রত্যক্ষ সম্পর্ক রয়েছে।
সুকমার পুলিশ সুপার কিরণ চবন জানিয়েছেন, এদিনও মাওবাদীদের সন্ধানে স্থানীয় কিশতারাম থানা এলাকায় নিরাপত্তাবাহিনীর যৌথ অভিযান চলছিল। সেই সময়ে হঠাৎই মাওবাদীদের সঙ্গে গুলির লড়াই শুরু হয় নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্যদের।
এদিনের এই যৌথ অভিযানে সামিল হয়েছিলেন - ডিস্ট্রিক্ট রিজার্ভ গার্ড (ডিআরজি) এবং সিআরপিএফ-এর বিশেষ প্রশিক্ষিত কোবরা বাহিনীর সদস্যরা। তবে, এই অভিযান শুরু করা হয়েছিল শুক্রবার।
পুলিশের কাছে গোপন সূত্রে খবর এসেছিল, ওই এলাকায় মাওবাদীরা ঘাঁটি গেড়ে রয়েছেন। তার ভিত্তিতেই এই মাওদমন অভিযান শুরু করা হয়েছিল। তবে, এদিনের এই অভিযানে যে দুই মাওবাদীর মৃত্যু হয়েছে বলে দাবি করা হচ্ছে, তাঁদের পরিচয় এখনও পর্যন্ত জানা যায়নি।
বাস্তার রেঞ্জের আইজি সুন্দররাজ পি এই প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, 'যেখানে এই এনকাউন্টার হয়েছে, সেখানে এবং তার আশপাশের এলাকা জুড়ে ব্যাপকভাবে তল্লাশি অভিযান চালানো হচ্ছে।'
আইজি তাঁর বক্তব্য়ে আরও জানিয়েছেন, ২০২৪ সালে যেমন লাগাতার মাওদমন অভিযান চালানো হয়েছে, ২০২৫ সালেও সেই ধারা অব্যাহত রাখা হবে।
তিনি বলেন, 'শুধুমাত্র গত ৬০ দিনেই মাওদমন অভিযানের জেরে বাস্তার রেঞ্জে মোট ৬৭ জন কট্টর মাওবাদীকে নিকেশ করা সম্ভব হয়েছে। মাওবাদীদের কাছে আর কোনও উপায় নেই। এবার তাঁদের হিংসার পথ ত্যাগ করে আত্মসমর্পণ করতেই হবে। তাঁদের প্রতি আমাদের একান্ত বার্তা হল, এবার অন্তত তাঁরা হিংসার পথ ত্যাগ করে সমাজের মূল স্রোতে ফেরত আসার চেষ্টা করুন। আর, যদি তাঁরা সেটা না করেন, তাহলে তাঁদের এর ফল ভোগ করতে হবে।'
এদিকে, শুক্র-শনিবারের এই এনকাউন্টার সম্পর্কে বলতে গিয়ে পুলিশ সুপার আরও জানিয়েছেন, ঘটনাস্থলে তাঁরা আরও রক্তের দাগ (নিহত দু'জনের বাদ দিয়ে) ও দেহ ঘষটে নিয়ে যাওয়ার দাগ দেখতে পেয়েছেন। যার থেকে এটা স্পষ্ট যে এই অভিযানে মাওবাদীদের হতাহতের সংখ্যা আরও বেশি হতে পারে। সেই বিষয়ে নিশ্চিত হতেই গোটা এলাকায় তল্লাশি চালানো হচ্ছে।