পুলিশের কনস্টেবলের সঙ্গে পরকীয়া করতে নিজের স্বামীকে রাতের পর রাত ঘুমের ওষুধ খাওয়াতেন স্ত্রী। আর সেই ঘউমের ওষুধ জোগাড় করে দিতেন পুলিশের সেই কনস্টেবল। ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশের বরেলিতে। জানা গিয়েছে, ঘটনার কথা স্বামী জানতে পারায়, তাঁকে প্রাণে মারার হুমকি দিয়েছে অভিযুক্ত কনস্টেবল।
জানা গিয়েছে, বরেলির ক্যান্ট থানার কনস্টেবল এই ঘটনায় অভিযুক্ত। অভিযোগকারী স্বামী থানায় গিয়ে তাঁর স্ত্রী এবং সেই কনস্টেবলের অন্তরঙ্গ মুহূর্তের ভিডিয়ো দেখিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। অভিযুক্ত কনস্টেবলের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়েছে। দোষ প্রমাণিত হলে সেই কনস্টেবলের বিরুদ্ধে উপযুক্ত পদক্ষেপ নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছে পুলিশের শঈর্ষ করাতারা।
জানা গিয়েছে ক্যান্টমেন্ট এলাকাতেই থাকতেন এক দম্পতি। সেই দম্পতির সঙ্গে আলাপ হয় অভিযুক্ত কনস্টেবলের। প্রথমে তাদের সঙ্গে বন্ধুত্ব পাতিয়ে তাদের বাড়িতে যেতে শুরু করেন সেই পুলিশকর্মী। তারপর ক্রমেই অভিযোগকারী ব্যক্তির স্ত্রীয়ের সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা বাড়ে কনস্টেবলের। সোশ্যাল মিডিয়াতে চ্যাটিং শুরু করেন দুই জনে। পরে বিষয়টি আরও এগোতে থাকে।
অভিযোগ, এই পরিস্থিতিতে রোজ স্বামীকে দুধে ঘুমের ওষুধ মিশিয়ে খাওয়াতেন স্ত্রী। স্বামী গভীর ঘুমে আচ্ছন্ন হলে কনস্টেবলকে ডেকে নিতেন নিজের বাড়িতে। এই ঘুমের ওষুধ জোগাড় করতেন অভিযুক্ত কনস্টেবল। তবে একদিন পেট খারাপ হওয়ার কারণে স্বামী ওষুধ মেশানো দুধ খায়নি। সেই বিষয়ে অবগত না হয়েই কনস্টেবলকে ডেকে নেন স্ত্রী। পরে মাধরাতে স্বামীর ঘুম ভাঙলে সে হাতেনাতে ধরে ফেলেন দুই জনকে। এরপরই নাকি কনস্টেবল অভিযোগকারীকে প্রাণে মারার হুমকি দেন। ঘটনার অভিযোগ দায়ের করা হলে তদন্ত করছে স্থানীয় থানার পুলিশ। তবে এখনও কনস্টেবলের বিরুদ্ধে কোনও মামলা দায়ের হয়নি।