পাঞ্জাবে বিরোধী দলনেতা তথা কংগ্রেস নেতা প্রতাপ সিং বাজওয়া দাবি করেছেন, রাজ্যে ৫০টি গ্রেনেড ঢুকেছে। যার মধ্যে ১৮ টি ব্যবহার করা হয়েছে। তাঁর এই দাবি ঘিরে পাঞ্জাবের রাজনীতিতে শোরগোল পড়ে গিয়েছে। কীভাবে তিনি এই তথ্য জানলেন? তা নিয়ে ইতিমধ্যেই বাজওয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর করেছে পুলিশ। হাজিরার জন্য মঙ্গলবার পর্যন্ত পুলিশের কাছে তিনি সময় চেয়েছেন। এ নিয়ে পাঞ্জাবের আপ মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান বাজওয়াকে তীব্র নিশানা করেছেন। যদিও বাজওয়ার পাশে দাঁড়িয়েছে কংগ্রেস।
আরও পড়ুন: বিচ্ছেদের ৭ বছর পর ফের বিয়ে পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রীর, পাত্রী নিয়ে চরম গোপনীয়তা
পাঞ্জাবের বিজেপি নেতার বাড়িতে বোমা বিস্ফোরণের পরেই একটি সংবাদ মাধ্যমে সাক্ষাত দেওয়ার সময় বাজওয়া দাবি করেছিলেন, পাঞ্জাবে ৫০টি হ্যান্ড গ্রেনেড ঢুকেছে, যার মধ্যে প্রায় ৩২টি এখনও ব্যবহার করা হয়নি। তারপরেই দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যকে বিপন্ন করে এমন বিভ্রান্তিকর তথ্য সহ অভিযোগে মামলা দায়ের করা হয়েছিল মোহালির সাইবার ক্রাইম থানায়। তাঁর বিরুদ্ধে ভারতীয় ন্যায় সংহিতার ১৯৭(১) (ডি) (মিথ্যা ও বিভ্রান্তিকর তথ্য যা দেশের সার্বভৌমত্ব ও ঐক্যকে বিপন্ন করে) এবং ৩৫৩(২) (শত্রুতা, ঘৃণা বা অসৎ ইচ্ছা তৈরির উদ্দেশ্যে মিথ্যে বিবৃতি) ধারার অধীনে বাজওয়ার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের করা হয়।পুলিশ কংগ্রেস নেতাকে সমন জারি করে সোমবার দুপুরে মোহালির পুলিশ সুপারের সামনে হাজির হতে বলে।তবে বাজওয়া তাঁর আইনজীবীর মাধ্যমে জানান মঙ্গলবার পর্যন্ত হাজির হতে পারবেন না।
বাজওয়াকে নিশানা করেন মুখ্যমন্ত্রী ভগবন্ত সিং মান নিশানা করে বলেন, তিনি কোথা থেকে এই তথ্য পেয়েছেন? পঞ্জাবের গোয়েন্দারাও এমন তথ্য জানেন না। তাঁর বিরুদ্ধে রাজ্যে ভীতির পরিবেশ গড়ে তোলার চেষ্টার অভিযোগ তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। তিনি আরও দাবি করেন, বাজওয়া পরিবারের সঙ্গে পাকিস্তানি এজেন্টদের সম্পর্ক রয়েছে।
যদিও বাজওয়া বলেন, ‘আমি আমার বক্তব্যে অটল এবং আমার সূত্র প্রকাশ করব না। পুলিশ অফিসাররা আমার কাছে এসেছিলেন এবং আমি সম্পূর্ণ সহযোগিতা করেছি। আজ পাঞ্জাবে কী ঘটছে তা একবার দেখুন। গ্রেনেড হামলা হচ্ছে, আর সরকার কিছুই জানে না।’ কংগ্রেসের প্রবীণ নেতা সুখজিন্দর সিং রন্ধাওয়া বাজওয়াকে সমর্থন করেছেন। তিনি বলেছেন, বাজওয়া রাজনৈতিক এবং ব্যক্তিগত প্রতিহিংসার শিকার হচ্ছেন। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ বলেন, বাজওয়া ঠিকই বলেছেন। কংগ্রেসের বক্তব্য, পঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।