গুরুতর অভিযোগ উঠল পুলিশের বিরুদ্ধে। অনুমতি না নিয়ে নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল একটি গ্রামে। পুলিশ বাধা দিতে গেলে কথা কাটা কাটাকাটি হয় আয়োজকদের সঙ্গে। ঘটনায় পুলিশ এক ব্যক্তিকে থানায় তুলে নিয়ে গিয়ে মেঝেতে তার থুতু চাটতে বাধ্য করল বলে অভিযোগ। এমনই অভিযোগ উঠেছে, উত্তরপ্রদেশের নাসিরাবাদে। ঘটনাটি সামনে আসতেই শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশের বিরুদ্ধে সমালোচনায় সরব হয়েছে বিভিন্ন মহল।
আরও পড়ুন: ৫ লাখ খরচ করে এনকাউন্টারে খতম দুষ্কৃতীর মেয়ের বিয়ে দিয়ে নজির গড়ল পুলিশ
জানা গিয়েছে, নাসিরাবাদের কাপুরপুর গ্রামের প্রধানের প্রতিনিধি সুশীল শর্মা একটি দীপাবলি উপলক্ষ্যে গ্রামে একটি নাটকের আয়োজন করেছিলেন, যার নাম ‘নৌটাঙ্কি’। তবে অভিযোগ ওঠে প্রশাসনের কাছ থেকে কোনওরকমের অনুমতি না নিয়ে এই নাটকের আয়োজন করা হয়েছিল। সেই অভিযোগ পাওয়ার পরেই স্থানীয় থানার পুলিশের একটি দল গভীর রাতে ওই গ্রামে হানা দেয়। ঘটনাস্থলে পৌঁছে পুলিশ সুশীলকে অনুষ্ঠান বন্ধ করতে বলে। তবে পুলিশের দাবি, সুশীল নাটক বন্ধ করতে আপত্তি জানান। এমনকী অনুষ্ঠান চলাকালীন সুশীল শর্মা এবং তার সহযোগীরা পুলিশকে বাধা দেয়। তাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করে বলে অভিযোগ। পুলিশের আরও দাবি, তারা সকলেই মদ্যপ অবস্থায় ছিল। আর সেই অবস্থাতেই পুলিশকে গালিগালাজ করে। ঘটনায় পুলিশ সুশীলশর্মা এবং তার সহযোগীদের আটক করে থানায় তুলে নিয়ে যায়। সবমিলিয়ে ৫ জনকে আটক করা হয়।
এদিকে, সুশীল শর্মা দাবি করেছেন, তাঁকে এবং তার চার সহযোগীদের আটক করে থানায় নিয়ে যাওয়ার পর শারীরিকভাবে লাঞ্ছিত করা হয়েছিল। শুধু তাই নয়, থানায় মেঝেতে তাকে তার থুথু চাটতেও বাধ্য করেছিল পুলিশ। গ্রামের প্রধান এই ঘটনায় পুলিশের বিরুদ্ধেই অভিযোগ তুলেছেন। অভিযোগ তোলা হচ্ছে, নাসিরাবাদের এসএইচও শিবকান্ত পান্ডে তার কাছ থেকে নাকি ২ লক্ষ ঘুষ দাবি করেছেন। আর সেই টাকা না দিলে কড়া মামলা দেওয়া হবে বলে অভিযোগও তুলেছেন সুশীল।
যদিও পুলিশের তরফে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। পালটা তাদের বিরুদ্ধেই পুলিশের সঙ্গে অভব্য আচরণের অভিযোগ তোলা হয়েছে। তবে এই ঘটনায় শনিবার গ্রাম প্রধান পুলিশ সুপারের কাছে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছেন। রায়বেরেলির পুলিশ সুপার যশবীর সিং বলেছেন, স্থানীয় পুলিশ আধিকারিকদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগগুলি তদন্ত করা হচ্ছে। দোষী প্রমাণিত হলে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।