বিয়ের মরশুমে প্রতারণার নয়া ছক। চার রাজ্যের পুলিশ সতর্ক করছে ডিজিটাল ‘বিয়ের কার্ড প্রতারণা'। হোয়াটসঅ্যাপে ঘুরপাক খাচ্ছে অক ধরণের ডিজিটাল বিয়ের কার্ড, যার সঙ্গে সংযুক্ত থাকছে এমন এক লিঙ্ক, যেখানে প্রতারকরা নানা ফাঁদ পেতে থাকে। এই ফাঁদে পা দিয়ে অনেকেই লাখ লাখ টাকা খুইয়েছেন। কী এই প্রতারণার ছক?
এক ধরনের ভুয়ো বিয়ের কার্ড দিয়ে প্রতারণার ছক চলছে ডিজিটাল মাধ্যমে। এই ধরনের ভুয়ো কার্ড হোয়াটঅ্যাপে দিয়ে সেখান থেকে ম্যালওয়্য়ার ছড়ানো হচ্ছে। যার হাত ধরে ব্যক্তিগত তথ্য হাতিয়ে নেওয়া চলছে। 'ইকনমিক টাইমস' র এক রিপোর্ট অনুযায়ী, প্রতারকরা ক্ষতিকারক এপিকে ফাইল হোয়াটসঅ্যাপে বিয়ের কার্ডের ছদ্মবেশে পাঠাচ্ছে। যে ধরনের গ্রাহকরা সাধারণত সন্দেহ করেন না, তাঁদেরই টার্গেট করে এই কার্ড পাঠানো চলছে। এই কার্ডে একবার ক্লিক করলেই বিপদ! তারপরই ওই ক্ষতিকারক লিঙ্ক খুলে যাচ্ছে হোয়াটসঅ্য়াপ থেকে। এর হাত ধরে একটি ক্ষতিকারক ম্যালওয়ার খুলে যেতে পারে, যার দ্বারা আর্থিক তথ্য প্রতারকদের হাতে গিয়ে বড়সড় ক্ষতি হতে পরে।
সদ্য রাজস্থানে এক ব্যক্তি এই ফাঁদে পড়েন। তিনি হোয়াটসঅ্যাপে অজানা নম্বর থেকে আসা বিয়ের ডিজিটাল কার্ডের পিডিএফ খুলে ফেলেন। তারফলে ওই ক্ষতিকারক ম্যালওয়্যারটি ঘটনার শিকার ব্যক্তির ডিভাইসে চলে আসে। তার হাত ধরে প্রতারকরা এই ব্যাক্তির ডিভাইস থেকে তাঁর ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের বিস্তারিত জেনে নেয়। এরপর ওই ব্যক্তি ৪.৫ লাখ টাকা খোয়ান।
এই হোয়াটসঅ্যাপ প্রতারণা নিয়ে উত্তর প্রদেশ, হিমাচল প্রদেশ, রাজস্থান, গুজরাটের পুলিশ সতর্ক করছে। গুজরাটের পুলিশ সতর্ক বার্তা দিয়ে জানিয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপে আসছে ভুয়ো বিয়ের কার্ড, তাতে ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট ফাঁকা হয়ে যাচ্ছে। পুলিশ বলছে, মানুষ অজান্তে তাতে ক্লিক করলেই এই কার্জে থআকা এপিকে ফাইল নিডে থেকে ডিভাইসে ইনস্টল হয়ে গিয়ে প্রতারকদের সুবিধা করে দিচ্ছে। এপিকে ফাইল অর্থাৎ অ্যান্ড্রয়েড প্যাকেজ কিট। এটি মেইল,সোশ্যাল মিডিয়া, মেসেজিং অ্যাপ থেকে ছড়িয়ে যেতে পারে।