গুয়াহাটি আইআইটির এক ছাত্রীর মৃতদেহ উদ্ধারকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। আইআইটি হোস্টেলের ঘর থেকে ওই ছাত্রের মৃতদেহ উদ্ধার হয়েছে। প্রাথমিকভাবে পুলিশের অনুমান, হস্টেলের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মঘাতী হয়েছেন। যদিও কী কারণে ছাত্রী আত্মঘাতী হয়েছেন তা জানার চেষ্টা করছে পুলিশ। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে।
আরও পড়ুন: আইআইটি খড়গপুরের হস্টেলের ছাদ থেকে উদ্ধার ছাত্রীর ঝুলন্ত দেহ, মৃত্যু ঘিরে রহস্য
গুয়াহাটি আইআইটি সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ছাত্রীর নাম সৌম্য (২৪)। ওই ছাত্রী উত্তর প্রদেশের বাসিন্দা। গুয়াহাটির এম টেকের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্রী ছিলেন তিনি। আইআইটি কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, অন্যান্য ছাত্রীরা ঘটনাটি সম্পর্কে তাদের জানান। পরে পুলিশকে খবর দেওয়া হলে পুলিশ গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করে নিয়ে যায়।
প্রাথমিকভাবে এটিকে আত্মহত্যার ঘটনা বলে সন্দেহ করা হচ্ছে। পুলিশ জানিয়েছে, বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে এবং ছাত্রীর পরিবারের সদস্যদের জানানো হয়েছে। আজ শনিবার তাদের সেখানে পৌঁছনোর কথা। এদিনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে অন্যান্য ছাত্রীদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরি হয়।
পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় মৃত ছাত্রীর পরিবারকে জানানো হয়েছে। আইআইটি কর্তৃপক্ষের তরফে পরিবারের এই কঠিন সময়ে পাশে থাকার আশ্বাস দিয়েছে। পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন,‘আমরা আইআইটি গুয়াহাটি থেকে শুক্রবার সকাল সাড়ে ১০ টার দিকে ডিসাং হস্টেলে একজ ছাত্রীকে ঝুলন্ত অবস্থায় দেখতে পাওয়ার খবর পায় । এরপরেই আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে মৃতদেহ উদ্ধার করি।’ পরিবারের সদস্যদের আসার পর মৃতদেহটি ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হবে বলে পুলিশের ওই কর্মকর্তা জানিয়েছেন।
এদিকে, এই ঘটনার পরেই আইআইটি গুয়াহাটি কর্তৃপক্ষ দুঃখ প্রকাশ করেছে। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, পুলিশ বিষয়টি তদন্ত করছে। ছাত্রীর পরিবারকে অবহিত জানানো হয়েছে। এই কঠিন সময়ে প্রতিষ্ঠান তার পরিবারের পাশে থাকবে। পুলিশ জানিয়েছে, ছাত্রীর আত্মহত্যার কারণ খতিয়ে দেখতে অন্যান্য পড়ুয়াদের সঙ্গে এবং তাঁর পরিবারের সঙ্গে কথা বলা হবে। এই নিয়ে ৪ মাসের মধ্যে প্রতিষ্ঠানটিতে ২ জন পড়ুয়ার আত্মহত্যার ঘটনা ঘটল। প্রসঙ্গত, কেন্দ্রীয় শিক্ষা মন্ত্রকের তথ্য অনুযায়ী, গত পাঁচ বছরে দেশের শীর্ষ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে ৯৮ জন পড়ুয়া আত্মঘাতী হয়েছেন, যার মধ্যে ৩৩ জন বিভিন্ন আইআইটির পড়ুয়া।