গাজিয়াবাদের একটি হোটেল থেকে উদ্ধার হল এক কর বিশেষজ্ঞের মৃতদেহ। কাজের সূত্রে ওই হোটেলে উঠেছিলেন তিনি। সেখানেই বেশ কয়েকটি ঘুমের ওষুধ একসঙ্গে খাওয়ার ফলে তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিক তদন্তে পুলিশের অনুমান। ঘটনাস্থল থেকে একটি সুইসাইড নোট উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। ঘটনাকে কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে।
আরও পড়ুন: ‘হনুমান বলত, ৬ মাস অফিসে অত্যাচার, মূলে মহিলা', মিলল ব্যাঙ্ককর্মীর সুইসাইড নোট
পুলিশ সূত্রের খবর, ২৫ বছর বয়সি ওই কর বিশেষজ্ঞ গুরগাঁওয়ে কাজ করতেন। রবিবার তিনি গাজিয়াবাদের কৌশম্বি হোটেলে উঠেছিলেন। এরপর সোমবার সকালে হোটেলের কর্মীরা কর বিশেষজ্ঞকে বিছানায় অচেতন অবস্থায় পড়ে থাকতে দেখেন। সঙ্গে সঙ্গে হোটেলের তরফে পুলিশকে খবর দেওয়া হয়। পরে পুলিশ গিয়ে তাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে চিকিৎসকরা তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন। তাঁর মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য পাঠানো হয়েছে। এছাড়াও ঘটনাস্থল একটি চিরকুট উদ্ধার করেছে পুলিশ। যদিও তাতে মৃত্যুর কারণ লেখা ছিল না। শুধু লেখা ছিল, ‘যদি আমি মারা যায় তাহলে যেন আমার মা এবং ভাইকে জানানো হয়।’
পুলিশ জানিয়েছে ওই কর বিশেষজ্ঞ আদতে কেরলের বাসিন্দা। তাঁর কাছ থেকে চিরকুট উদ্ধার হওয়ার পাশাপাশি তিনি মোবাইলে দাদাকে এসএমএসও করেছিলেন। মৃতের দাদা জানান, সকালে ঘুম থেকে উঠে তিনি ভাইয়ের কাছ থেকে এসএমএস পান । তা দেখার পরে বেশ কয়েকবার তাঁকে ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু, যোগাযোগ করতে ব্যর্থ হন। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মৃত ব্যক্তি এসএমএসে ফোন এবং ল্যাপটপে পাসওয়ার্ড দাদাকে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি কোথাও তিনি লগ্নি করেছেন কিনা, অথবা ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট সংক্রান্ত যাবতীয় তথ্য দাদাকে তিনি শেয়ার করেছেন বলে জানিয়েছেন ইন্দিরাপুরমের সহকারী পুলিশ সুপার স্বতন্ত্র সিং।
পুলিশ জানিয়েছে, গত রবিবার সন্ধ্যা সওয়া ৭ টা নাগাদ তিনি হোটেলে উঠেছিলেন। পারিবারিক সূত্রের খবর, গত ৬ মাস ধরে তিনি অবসাদে ভুগছিলেন। এর জন্য তাঁর চিকিৎসাও চলছিল। সোমবার সকাল ১০টা নাগাদ হোটেলে তাঁর বিছানায় একাধিক ঘুমের ওষুধ পাওয়া যায়। বেশি পরিমাণে ওষুধ খাওয়ার ফলেই তাঁর মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান পুলিশের। তবে এর পিছনে অন্য কোনও রহস্য রয়েছে কি না তা জানার জন্য সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখছে পুলিশ। যদিও এখনও পরিবারের তরফে কোনও অভিযোগ দায়ের হয়নি বলে জানিয়েছে পুলিশ।