মেয়ের বিয়ে দেওয়ার সামর্থ্য নেই দিনমজুর বাবার। পাশে দাঁড়ালেন পুলিশকর্মীরা। শুধু আর্থিক সাহায্যই নয়। পরিবার-পরিজন হয়ে উঠলেন উর্দিধারীরা।
গয়েরকাটা এলাকার বাসিন্দা দিলীপ ভাওয়াল। পেশায় দিনমজুর। বৃদ্ধ বয়সে বেশি কাজ করতে পারেন না। কোনও মতে ১০০ দিনের কাজ করে সংসার টানেন। এদিকে তাঁর মেয়ে স্মৃতিকা ভাওয়ালের বিয়ে ঠিক হয়।
ভাল পাত্র পাওয়ায় মেয়ের বিয়ে দিতে চাইছিলেন দিলীপবাবু। কিন্তু অন্তরায় আর্থিক পরিস্থিতি। এখনকার বাজারে মধ্যবিত্তের পক্ষেই বিয়ের আয়োজন করা কঠিন ব্যাপার। সেখানে আর্থিকভাবে পিছিয়ে পড়া ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে তা কার্যত অসম্ভব। আরও পড়ুন : বিজেপি রাজ্যে ১০০ টাকার নিচে পেট্রোল, অন্যদের তুলনায় ১৫ টাকা কম
সেই সময়েই দিলীপবাবুর পরিচিত স্থানীয়রা বানারহাট থানার ট্র্যাফিক গার্ডের অফিসে সাহায্যের আবেদন করেন। ট্র্যাফিক গার্ডের পক্ষ থেকে থানার আইসি শান্তনু সরকারকে জানানো হয়। আইসি জানান, পুলিশই বিয়ের আয়োজন করবে।
তাঁদের সহায়তায় শুরু হয় ব্যবস্থা। মাঝে মাঝে এসে আয়োজন দেখে যান পুলিশকর্মীরা। এরপর বৃহস্পতিবার রাতে শান্তনু সরকার ও অন্যান্য পুলিশকর্মীরা বিয়েতে আসেন। তিনিই কন্যাদান করেন।
ছিল প্রীতিভোজের আয়োজনও। আইনরক্ষকদের উর্দির আড়ালেও এক পিতার হৃদয় থাকে, বলছেন সকলে।