পোল্যান্ডের শাসক দলের নেতা জারোসল কাচেনস্কিকে নিয়ে এই মুহূর্তে তোলপাড় শুরু হয়েছে সেদেশে। সদ্য এই রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব একটি মন্তব্যের জেরে খবরের শিরোনাম কেড়ে নিয়েছেন। ৭৩ বছর বয়সী অবিবাহিত এই নেতা সদ্য এক মন্তব্যে বলেছেন যে 'দেশের কম বার্থরেটের কারণ মহিলাদের অতিরিক্ত মদ্যপান।' বিরোধী পক্ষের নেতারা এই ইস্যুতে তাঁর বিরুদ্ধে কার্যত নিন্দায় মুখর হয়েছেন। অবিবাহিত কাচেনস্কিকে নিয়ে বিরোধীপক্ষের বক্তব্য, কাচেনস্কি নিজেও কম বার্থরেটের জন্য দায়ী।
২০১৫ সাল থেকে কাচেনস্কি পোল্যান্ডের অন্যতম নামী রাজনৈতিক নেতা। তাঁর এই মন্তব্যে পোল্যান্ডে সমালোচনা তুঙ্গে। তবে বহু বিশেষজ্ঞের মতে, পোল্যান্ডে গর্ভপাত সংক্রান্ত কিছু আইনের জেরে মহিলারা গর্ভধারণের ক্ষেত্রেও পিছিয়ে আসছেন। এছাড়াও সেদেশে মুদ্রাস্ফীতি বেড়েছে। যা বেড়েছে ১৮ শতাংশ। এছাড়াও সংসার চালানোর খরচও পোল্যান্ডে হু হু করে বেড়ে গিয়েছে। উল্লেখ্য, সামনেই পোল্যান্ডে সাধারণ নির্বাচন। সেই ইস্যুতেই দেশের বিভিন্ন জায়গায় কাচেনস্কি সফর করছেন ভোট প্রচারের জন্য। এমনই একটি প্রচার সভা থেকে তিনি নিজের বক্তব্য তুলে ধরেন। শনিবার 'ফার টু ফিউ চিল্ড্রেন' সংক্রান্ত এক সবা থেকে বক্তব্য রাখেন তিনি। সেখানে তিনি বলেন, ' এটা খোলাখুলিভাবে বলা উচিত। একটু তেঁতো কথা। উদাহরণ স্বরূপ যদি এমন পরিস্থিতি তৈরি হয় যে, ২৫ বছর বয়স পর্যন্ত মেয়েরা, অল্পবয়সী মহিলা, তাদের সমবয়সীদের মতোই একই পরিমাণ পান মদ করেন, তাহলে তাঁদের কোনও সন্তান থাকবে না।' তিনি বলছেন, মহিলাদের মদের নেশা ধরতে ২ বছর লাগে। আর পুরুষদের ২০ বছর। ফলে সেই দিক থেকে কোনও মহিলার মদ্যপান উচিত নয় বলে দাবি তাঁর। তাঁর মতে দেশের কম জন্মের হারের নেপথ্যে রয়েছে মহিলাদের মদ্যপান।
শিখ সমাজের কাছে দিদির আবদার 'আমার ঘরে একটু হালুয়া পাঠাবেন'
প্রবল সমালোচনার মুখে পড়ে তিনি বলেন, 'আমি সত্যিই মহিলাদের সমানাধিকারের একজন আন্তরিক সমর্থক, কিন্তু আমি মহিলাদের সমর্থন করে পুরুষ হয়ে ওঠার এবং পুরুষের সমর্থন করে নারী হওয়ার ভান করার সমর্থক নই, কারণ এটি সম্পূর্ণ ভিন্ন কিছু।' এদিকে, পোল্যান্ডের এক টিভি শোতে এই ইস্যুতে চরম তর্ক বিতর্ক চলতে থাকে। সেখানে বিপক্ষ শিবির কাচেনস্কির বক্তব্যকে তুলে ধরে বলেন,'এটি কোনও ডিবেটই নয়, এটি পোল্যান্ডের মহিলাদের অপমান।'