বিধানসভা নির্বাচনে ভোটাভুটি চলাকালীন তারকা-ঝলক! দেশের রাজধানী শহর দিল্লি। বহু হেভিওয়েট নেতা, মন্ত্রী এখানকার বাসিন্দা। বাকিরাও যাতে ভোটদানে উৎসাহী হন, তাই এই 'সেলেব' ভোটাররা সক্কাল সক্কাল নিজেদের মতদানের দায়িত্ব পালন করলেন।
সেই তালিকায় যেমন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা ও নেত্রীরা ছিলেন, তেমনই ছিলেন দেশের প্রথম নাগরিক - ভারতের মাননীয়া রাষ্ট্রপতি তথা সাংবিধানিক প্রধান দ্রৌপদী মুর্মু। তিনি রাষ্ট্রপতি ভবন চত্বরের ভিতরেই ড. রাজেন্দ্র প্রসাদ কেন্দ্রীয় বিদ্য়ালয়ের পোলিং স্টেশনে নিজের ভোট দেন।
নিজের ভোট দেওয়ার সময় উপরাষ্ট্রপতি জগদীপ ধনখড় বলেন, এটা হল গণতন্ত্রের অক্সিজেন। তাঁর দাবি, ভারতীয় নির্বাচনী ক্ষেত্রে যেভাবে প্রযুক্তির ব্যবহার করা হচ্ছে, তা সারা বিশ্বে প্রশংসিত হয়েছে।
এছাড়াও, ভারতের সেনাপ্রধান জেনারেল উপেন্দ্র দ্বিবেদী এবং নৌবাহিনীর প্রধান অ্য়াডমিরাল দীনেশ কুমার ত্রিপাঠীও দিল্লির ভোটার। তাঁরাও এদিন নিজেদের ভোট দান করেন।
এদিন রাজ নিবাস লেনের পোলিং স্টেশনে ভোট দিতে পৌঁছন দিল্লির লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর ভি কে সাক্সেনা। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতা সাক্সেনা।
ভোটদান করতে এসে লেফটেন্য়ান্ট গভর্নর বলেন, 'আমার বিশ্বাস, দিল্লির মানুষ তাদের সরকার বেছে নিতে বিপুল সংখ্যা ভোটদানে অংশ নেবে। দিল্লিতে এমন অনেক কিছুই রয়েছে, যে দিকগুলিতে আমজনতার নজর রয়েছে। দূষণ একটা বিরাট বড় ইস্যু। আবর্জনার জমে থাকা স্তূপও একটা বড় ইস্যু। যমুনা পরিষ্কার করা একটা বড় ইস্যু। আমি নিশ্চিত যে এই বিষয়গুলি মাথায় রেখেই মানুষ ভোট দেবে।'
এদিন ভোট দিতে আসতে দেখা যায় প্রাক্তন প্রধান বিচারপতি ডি ওয়াই চন্দ্রচূড়কেও। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী কল্পনা দাস। তাঁরা তিন মূর্তি এলাকার কাছে লায়ন্স বিদ্যা মন্দির সেকেন্ডারি সল্কুলের পোলিং বুথে ভোটদান করেন।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি বলেন, ‘গণতন্ত্রে নির্বাচন অত্যন্ত জরুরি। এটা দিল্লি হোক, লোকসভা নির্বাচন হোক, কিংবা বিধানসভা ভোট হোক। প্রত্যেকটি নির্বাচনই গুরুত্বপূর্ণ। আমরা আমাদের ভোটাধিকার প্রয়োগের মাধ্যমে বৃহত্তর বিশ্ব এবং আমাদের নিজেদের সমাজের কাছে এই বার্তা দিই যে আমরা নাগরিক হিসাবে এই গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ার এক দায়িত্বশীল অংশীদার।’
বিজেপির হেভিওয়েট নেতা ও মন্ত্রীদের মধ্যে এদিন যাঁরা সকাল সকাল ভোট দেন, সেই দলে ছিলেন - বিজেপি নেতা হরদীপ পুরী, বিদেশমন্ত্রী এস জয়শংকর, সাংসদ বাঁসুরী স্বরাজ, মনোজ তিওয়ারি, হর্ষ মালহোত্রা, বীরেন্দ্র সচদেব প্রমুখ।
লেডি আরউইন সিনিয়র সেকেন্ডারি স্কুলে ভোট দিতে যান দিল্লির প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী তথা আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। সঙ্গে ছিলেন তাঁর স্ত্রী সুনীতা কেজরিওয়াল এবং তাঁর বাবা-মা গোবিন্দ রাম কেজরিওয়াল ও গীতা দেবী।
অন্যদিকে, নির্মাণ ভবনের পোলিং সেন্টারে ভোট দিতে আসেন লোকসভার বিরোধী দলনেতা রাহুল গান্ধী। তিনি সকল দিল্লিবাসীকে ভোটদানের আবেদন জানান।