রীতিমতো বুলডোজারের ব্যবহার। ভেঙে ফেলা হল ৩০০ বছরের প্রাচীন শিবমন্দির। চলতি সপ্তাহের শুরুতে রাজস্থানের আলওয়ার জেলায় বেশ কিছু পুরনো কাঠামোর সঙ্গে ভেঙে ফেলা হয় দুটি শিবমন্দির।
বিজেপি দুষছে কংগ্রেসকে
শুক্রবার রাজ্যের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন সরকারের বিরুদ্ধে 'হিন্দু বিরোধী' আচরণের অভিযোগ আনল বিজেপি। ভারতীয় জনতা পার্টির অভিযোগ হিন্দু ধর্মীয় স্থানে বুলডোজার ব্যবহার করে ধ্বংসলীলা চালাচ্ছে রাজস্থানের ক্ষমতাসীন কংগ্রেস সরকার। আরও পড়ুন: Share Market News: ১ লাখ টাকা বেড়ে ১৮ লাখ! TATA গ্রুপের শেয়ারে অবিশ্বাস্য লাভ পাচ্ছেন সকলে
দায় বিজেপির-ই, বলছে কংগ্রেস
কংগ্রেসও বিষয়ে দ্রুত পাল্টা প্রতিক্রিয়া দেয়। তারা সাফ জানিয়ে দেয়, এতে তাদের কোনও হাত নেই। বরং বিজেপিকেই পাল্টা তোপ দিয়েছে কংগ্রেস। তারা জানিয়েছে, আলওয়ারের রাজগড় শহরের পুরনিগম বিজেপি পরিচালিত। তারাই এই ধ্বংস অভিযান চালাচ্ছে।
জেলা কালেক্টর কী বলছেন?
আলওয়ারের জেলা কালেক্টর নাকাতে শিবপ্রসাদ মদন বলেন, অবৈধ কাঠামো ভেঙে ফেলার প্রস্তাবটি রাজগড় পুরনিগমের বোর্ড পাশ করেছিল। পুলিশের উপস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসনের সিদ্ধান্ত অনুসারে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল। 'চেয়ারম্যানের নেতৃত্বে বোর্ডের বৈঠকে দখল উচ্ছেদের প্রস্তাব পাশ হয়। নির্বাহী আধিকারিক নোটিশ জারি করেন। তারপরেই ভাঙাভাঙির পদক্ষেপ নেওয়া হয়,' কালেক্টর জানান।
এ বিষয়ে ওয়াকিবহাল অপর এক আধিকারিক জানান, গত ৬ এপ্রিল কাউন্সিলের নির্বাহী কর্মকর্তা ৮৬ জনকে সড়ক থেকে দখল উচ্ছেদের নোটিশ দেন। তাঁদের সময় বেঁধে দেওয়া হয়। ১৭ এবং ১৮ এপ্রিল ১০০টিরও বেশি কাঠামো ভেঙে ফেলা হয়।
সেই সময়েই একটি মন্দির সম্পূর্ণভাবে ভেঙে ফেলা হয়। তবে মূর্তিগুলি সরিয়ে নেওয়া হয়। অন্যদিকে দ্বিতীয় মন্দিরটি আংশিক ভাঙা হয়। তবে সেই মন্দিরের গর্ভগৃহটি নিরাপদ, জানান আধিকারিক।
নগরোন্নয়ন মন্ত্রী শান্তি ধারিওয়াল বলেন, মাস্টার প্ল্যান অনুসারে রাস্তা প্রশস্ত করার কথা। সেই জন্যই সীমানা অপসারণের ভাবনা। এর প্রস্তাব ২০২১ সালের সেপ্টেম্বরে বোর্ডের সভায় পাস হয়েছিল। নোটিশ দেওয়ার পরে বোর্ডের সিদ্ধান্ত মেনেই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছিল। 'যাই করা হয়েছে তা বিজেপির কাউন্সিলের তত্ত্বাবধানে করা হয়েছে। এতে সরকারের কিছু করার নেই এবং জানানোও হয়নি,' ধারিওয়াল জানান।
পিছু হঠছে না বিজেপি
একটি ফ্যাক্ট-ফাইন্ডিং কমিটি গঠন করেছেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সতীশ পুনিয়া। তিনি বলেন, 'কংগ্রেস সব কিছুর জন্য বিজেপির নেতৃত্বাধীন পুরনিগমের পরিষদকে দোষারোপ করছে। কিন্তু ঐতিহ্যবাহী কিছুর ক্ষেত্রে স্থানীয় পরিষদ এবং জেলা প্রশাসনের পরিচালক যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নেন। একটি ৩০০ বছরের পুরানো মন্দির কি একটি সাধারণ দখলদারি?