হিজবুল জঙ্গিদের সঙ্গে হাতেনাতে আটক করা হয়েছিল জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের সাসপেন্ডেড ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেবিন্দর সিং। সেই দেবিন্দর সিংকে এবার চাকরি থেকে 'নিষ্কৃতি' দিল জম্মু ও কাশ্মীর সরকার। সেই প্রেক্ষিতে লেফটেন্যান্ট গভর্নর মনোজ সিনহার সই করা নির্দেশিকায় লেখা, 'দেশের সুরক্ষার স্বার্থে দেবিন্দর সিংয়ের বিরুদ্ধে কোনও তদন্তের প্রয়োজন নেই।' আর এই নির্দেশিকা জারি হতেই জোর রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। এই নির্দেশিকা ইস্যু করেছেন জম্মু ও কাশ্মীরের প্রশাসনের কমিশনার সেক্রেটারি।
এই নির্দেশিকার প্রেক্ষিতে জম্মু ও কাশ্মীরের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী মেহবুবা মফতি টুইট করে লেখেন, 'সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেফতার হওয়া নিরীহ কাশ্মীরিরা বছরের পর বছর কারাগারে পড়ে আছে। তাদের জন্য বিচার শাস্তি হয়ে দাঁড়ায়। কিন্তু জঙ্গিদের সঙ্গে হাতেনাতে ধরা পড়া একজন পুলিশ আধিকারিকের বিরুদ্ধে তদন্ত চায় না ভারত সরকার। এটা কি এই কারণে যে তিনি সিস্টেমের সাথে মিলে কিছু অশান্ত ঘটনা ঘটিয়েছিলেন?'
এদিকে এই ঘটনা সুর চড়িয়েছে কংগ্রেসও। কংগ্রেসের মুখ্য মুখপাত্র রণদীপ সুরজেওয়ালা টুইট করে লেখেন, 'জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশের ডেপুটি সুপারিন্টেন্ডেন্ট দেবিন্দর সিং কে? কেন ভারত সরকার তাঁর বিরুদ্ধে তদন্ত করতে পারবে না? কেন দেশের সুরক্ষা ঝুঁকির মুখে পড়বে এই তদন্তের ফলে? পুলওয়ামাতে কী ওানর কোনও হাত ছিল? কার সাতে তাঁকে গ্রেফতার করা হয়েছিল? মোদী সরকার কী লুকোচ্ছে? দেশের এই বিষয়ে জানার অধিকার রয়েছে!'
২০২০ সালের ১১ জানুয়ারি জম্মু-শ্রীনগর জাতীয় সড়কে পুলিশ দেবিন্দরকে গ্রেফতার করেছিল। সেই সময় হিজবুল জঙ্গি নাবিদ বাবু এবং রফি আহমদ রাঠেরকে জম্মু নিয়ে যাচ্ছিলেন তিনি। দেবিন্দর সিংকে গ্রেফতারের পরে মামলাটি এনআইএ-র কাছে হস্তান্তর করার আগে জম্মু ও কাশ্মীর পুলিশ প্রাথমিক তদন্ত করেছিল। পুলিশ জানিয়েছিল , দু'জন জঙ্গি ও আইনজীবী পাকিস্তান যাওয়ার পরিকল্পনা করেছিল। তবে এহেন দেবিন্দরের বিরুদ্ধে তদন্তের প্রয়োজন নেই বলে নির্দেশিকা জারি হল।