নেহা এলএম ত্রিপাঠি
সোশ্য়াল মিডিয়ার পোস্টে অভিযোগ করা হয়েছিল এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রু ম্যানেজমেন্টের ক্ষেত্রে একেবারে হতাশাজনক পরিস্থিতি নিয়ে। সেই পোস্ট ভাইরাল হয়ে যায়।
ক্রু ম্যানেজমেন্টের ত্রুটির অভিযোগ তুলে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি পোস্ট ভাইরাল হয়েছিল।
যে পোস্টে বিমান সংস্থাটি তার ক্রুদের লেওভারে থাকতে বাধ্য করেছিল বলে অভিযোগ করা হয়েছে তার ছবি সহ পোস্টটিতে বলা হয়েছে, 'আবার। আবার। তাও আবার!! @airindia আপনি যদি বিশ্বমানের এয়ারলাইন্স হতে চান তবে আপনি নির্ধারিত লেওভার ফ্লাইটে আপনার ক্রুদের সাথে এইভাবে আচরণ করবেন না। আপনি একেবারেই করবেন না। বলা হয়েছিল ওই পোস্টে।
'ফ্লাইটের পরে চার ঘন্টা ধরে হোটেল রুমের জন্য শিকার/কুস্তি - এবং এটিই 'অফার' করা হয়! বিছানার চাদর, গামছা, বেসিক নেই??? মুম্বইয়ের বাসিন্দা মনীষা সিংহল লিখেছেন, 'ধরুন আমরা তাজ ও ম্যারিয়টে থেকেছি।
'... আর একজন ঘুম থেকে বঞ্চিত, নোংরা আচরণ করা কেবিন ক্রু সেই ক্ষোভ ধরে রাখবে - চিরকাল। হয়তো আপনার ফ্লায়ারদের অভিজ্ঞতায় ক্লান্তি প্রকাশ পাবে!
এয়ার ইন্ডিয়ার এক মুখপাত্র বলেন, 'এয়ার ইন্ডিয়ায় আমাদের কর্মীদের সুস্থতা আমাদের কাছে গুরুত্বপূর্ণ এবং আমরা তাদের যাত্রাবিরতির জন্য বিশ্বব্যাপী পরিচিত হোটেলগুলিতে আরামদায়ক থাকার প্রস্তাব দিই। এটি একটি গাফিলতি এবং আমরা যথাযথ ব্যবস্থা নেব।
জানা গেছে যে এয়ার ইন্ডিয়ার ক্রুরাও ম্যানেজমেন্টের সাথে লেওভারে থাকার বিষয়টি উত্থাপন করছেন।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক বিমান সংস্থার কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এটি ডোমেস্টিক সেক্টরে প্রায়ই হয়। 'সান ফ্রান্সিসকোতে উড়ে যাওয়ার সময় আন্তর্জাতিকভাবে একই রকম পরিস্থিতির মুখোমুখি হতে হয়েছে যখন কখনও কখনও ক্রুরা রুম পেতে কয়েক ঘন্টা অপেক্ষা করেছেন।
পোস্টে উল্লিখিত ঘটনাটি হ'ল যখন হোটেলটি পূর্ণ থাকায় দু'জন মহিলা কেবিন ক্রুকে জায়গা দেওয়া হয়নি। দ্বিতীয় এক আধিকারিক বলেন, 'শুধু এই দিনেই নয়, মাঝেমধ্যে হোটেলের পরিবর্তে সিটিই-তে (হায়দরাবাদে এয়ার ইন্ডিয়ার ট্রেনিং ইনস্টিটিউট) কর্মী বসানো হয়।
তিনি বলেন, 'এ ধরনের ঘটনায় ক্রুরা ক্রমেই বিরক্ত হতে শুরু করেছেন এবং তাদের মনোবল ভেঙে যেতে শুরু করেছে।
সব মিলিয়ে এই পোস্টকে ঘিরে ব্যাপক শোরগোল পড়ে গিয়েছে। ক্রুদের কী ধরনের পরিস্থিতির মধ্য়ে দিন কাটাতে হয় সেটাই উল্লেখ করা হয়েছে। তবে এয়ার ইন্ডিয়া তার জবাবও দিয়েছে।