উত্তরপ্রদেশে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণে এবার নয়া ফর্মুলা আনতে চলেছে যোগী সরকার। বিশ্লেষকদের মত, নির্বাচনের আগের বছরেই যেন এই সংক্রান্ত নয়া আইন এনে মেরুকরণের পথে হাঁটতে পারে বিজেপি। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবিত আইনের খসড়া তৈরি করা হয়েছে। তাতে বলা, যাঁদের সন্তান সংখ্যা দুইয়ের বেশি সন্তান তাঁরা সরকারি চাকরির জন্যে আবেদন জানাতে পারবেন না। শুধু তাই নয়, দুইয়ের বেশি সন্তান থাকলে স্থানীয় নির্বাচনেও লড়াই করা যাবে না বলে খসড়ায় উল্লেখিত রয়েছে।
এদিকে যাঁদের সন্তান সংখ্যা দুই বা তার কম, তাঁদের জন্যে বিশেষ সুযোগ সুবিধার কথাও উল্লেখ করা হয়েছে এই খসড়া বিলে। এই খসড়া তৈরি করেছেন রাজ্যেই আইন কমিশনের চেয়ারম্যান বিচারপতি এএন মিত্তল। তিনি এলাহাবাদ হাইকোর্টের প্রাক্তন বিচারতি। সম্ভবত রবিবারই ২০২১-৩০ সময়কালের জন্যে উত্তরপ্রদেশের জনসংখ্যা নীতি ঘোষণা করবেন যোগী আদিত্যনাথ।
খসড়ায় বলা হয়েছে, দুইয়ের অধিক সন্তান থাকলে ৭৭টি সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হবে সেই ব্যক্তি। সরকারি চাকরিতে থাকাকালীন কারোর দুইয়ের অধিক সন্তান হলে তাঁকে চাকরি থেকে বের করে দেওয়া হবে। তাছাড়া এক্ষেত্রে সরকারি চাকরির জন্যে আবেদনও করা যাবে না।
এদিকে কোনও দম্পতির যদি শুধুমাত্র একটি সন্তান হয়, তাহলে অনেক সুযোগ সুবিধা পাবেন তাঁরা। সরকারি চাকরিতে থাকা কারওর সন্তান সংখ্যা এক হলে পদোন্নতি, ইনক্রিমেন্ট এবং সরকারি আবাসন প্রকল্পে অগ্রাধিকার এবং সুবিধা পাবেন। যদি সরকারি চাকরি না করা কোনও ব্যক্তি সন্তান সংখ্যা এক হয়, সেক্ষেত্রে জল ও সম্পত্তি কর, গৃহঋণ সহ বহু ক্ষেত্রে ছাড় পাওয়া যাবে। এদিকে এক সন্তানের মা-বাবা যদি ভ্যাস্টেকমি করান, তাহলে তাঁধের সন্তানকে ২০ বছর বয়স পর্যন্ত সরকার বিনামল্যে শিক্ষা, চিকিত্সা এবং বীমার সুবিধা প্রদান করবে।