চিনের জনসংখ্যা বৃদ্ধি এখন প্রায় শূন্যে এসে ঠেকছে।করোনা আবহে মঙ্গলবার চিনের সরকারি তরফে এমনই দাবি করা হয়েছে।ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, চিন বার্ষিক বৃদ্ধির হার এসে ঠেকেছে ০. ৫৩ শতাংশ, যা গত দশকের তুলনায় অনেকটাই কম।
ন্যাশনাল ব্যুরো অফ স্ট্যাটিসটিক্সের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত এক দশকে জনসংখ্যা ৭ কোটি ২০ লাখ বৃদ্ধি পেয়েছে। ২০২০ সালে সেই জনসংখ্যা বৃদ্ধি পেয়ে হয়েছে ১৪১ কোটি ১০ লাখ। গত দশকের তুলনায় এই দশকে চিনে জনসংখ্যা বৃদ্ধির হার অনেকটাই কম।১৯৮০ সাল থেকেই চিনে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণের কাজ শুরু হয়। সেই সময় থেকেই চিনের প্রথম সারির নেতারা কীভাবে জনসংখ্যাকে নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রাখা যায়, সেই চিন্তাভাবনা করে এসেছেন। কিন্তু এই কাজ করতে গিয়ে দেখা গিয়েছে এর ফলে যারা কাজ করবেন, এমন সংখ্যা উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
তবে জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ হলেও স্ট্যাটিসটিক্স এজেন্সির ডিরেক্টর নিং জ্যাজহি জানিয়েছেন, জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রিত হলেও চিনে শ্রমিক সংখ্যা এখনও প্রচুর। তবে নিংয়ের মতে, ২০১৯ সালে যেখানে ১ কোটি ৪৬ লাখ শিশু জন্মগ্রহণ করেছিল, সেখানে গত বছরে শিশু জন্মেছে ১ কোটি ২০ লাখ। ১৮ শতাংশ কমেছে। দেখা যাচ্ছে, ১৫ থেকে ৫৯ বছর বয়সি শ্রমিকদের সংখ্যাও কমেছে। ২০১১ সালে যেখানে এই বয়সি শ্রমিকদের সংখ্যা ৯২ কোটি ৫০ লাখ ছিল, সেখানে তা এখন কমে দাঁড়িয়েছে ৮৯ কোটি ৪০ লাখ, অর্থাৎ ৫ শতাংশ কমেছে। জনসংখ্যা নিয়ন্ত্রণ করতে গিয়ে এভাবে শ্রমিক সংখ্যা কমে যাওয়াই এখন চিনা প্রশাসনের কাছে চিন্তার কারণ।
পিকিং বিশ্ববিদ্যালয়ের এক অধ্যাপক লু জাইহু জানান,‘আমাদের কাছে এখন সবচেয়ে চিন্তার কারণ এই শ্রমিক সংখ্যা কমে যাওয়া।এভাবে যদি কমতে থাকে, তাহলে তা ২০৫০ সালে এমন একটা জায়গায় এসে ঠেকবে যা ২০১১ সালের তুলনায় প্রায় অর্ধেকের কাছাকাছি।এই বিষয়টিকে আগে সমাধান করা দরকার।’