গালওয়ান সংঘর্ষের পর ভারত ও চিনের সম্পর্ক তলানিতে গিয়ে ঠেকেছে। দফায় দফায় ভারত ও চিনের সামরিক বাহিনী কমান্ডর পর্যায়ের বৈঠক করেও সীমান্তে শান্তি ফেরেনি। এই আবহে আগামী সেপ্টেম্বর মাসে সাংহাই কর্পোরেশন অর্গনাইজেশনের শীর্ষ সম্মেলন হতে চলেছে। সেই বৈঠকে মুখোমুখি হতে পারেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী ও চিনা প্রেসিডেন্ট শি জিনপিং। সেই সম্মেলনে যোগ দেবেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফও। এই পরিস্থিতিতে ভারতীয় প্রধানমন্ত্রী এবং চিনা রাষ্ট্রপ্রধান দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসবেন কি না তা নিয়ে জল্পনা তৈরি হয়েছে।
মধ্য এশিয়ার সমরকন্দে আগামী ১৫-১৬ সেপ্টেম্বর অনুষ্ঠিত হতে চলেছে এসসিও শীর্ষ সম্মেলন। এদিকে মনে করা হচ্ছে এই বৈঠকের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠক হতে পারে মোদী ও জিনপিংয়ের। এর আগে ২০১৭ সালের ৭ জুলাই জি-২০ সম্মেলনের মাঝে দ্বিপাক্ষিক বৈঠকে বসেছিলেন মোদী জিনপিং। সেবারে ডোকলাম সংঘাত মিটিয়ে নিয়েছিলেন দুই নেতা। লাদাখের সংঘাতও এই দুই নেতা সেভাবে মেটাতে সচেষ্ট হবেন কি না, তা নিয়ে তাই একটি সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে। প্রসঙ্গত, এর আগে ২০১৯ সালে ব্রিকস সম্মেলনের সময় শেষবার মুখোমুখি হয়েছিলেন মোদী এবং জিনপিং। উল্লেখ্য, ২০২০ সালের ৫ মে পূর্ব লাদাখের গালওয়ান উপত্যকায় সংঘর্ষ বাঁধে ভারত ও চিনা সেনার।
এদিকে এবছরই উজবেকিস্তানের থেকে এসসিও-র সভাপতিত্ব পাবে ভারত। এই আবহে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন এবং পাক প্রধানমন্ত্রী শেহবাজ শরিফের সঙ্গেও সৌজন্য সাক্ষাত করতে পারেন বলে মনে করা হচ্ছে। এদিকে শীর্ষ সম্মেলনের আগেই বিদেশমন্ত্রী পর্যায়ের এসসিও-র বৈঠক হবে। আগামী ২৯ জুলাই হবে এই বৈঠক। সেই বৈঠকে যোগ দিতে যাবেন ভারতের বিদেশমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর। সেই বৈঠকেই ইঙ্গিত মিলবে আগামী দিনে প্রধানমন্ত্রী জিনপিংয়ের সঙ্গে দেকা করবেন কি না।