দেশের বিভিন্ন জায়গায় তাপমাত্রার পারদ এখনও চড়ছে। ক্রমবর্ধমান তাপমাত্রার কারণে সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা কমপক্ষে আরও দু’বার সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে বলে মনে করা হচ্ছে। এই আবহে বিদ্যুৎ মন্ত্রক কয়লা আমদানির উপর জোর দেওয়ার পরিকল্পনা করছে। এবং কয়লা পরিবহণের জন্য সড়কপথ ব্যবহার করতে বলা হবে জেনারেশন কোম্পানিগুলিকে (জেনকোস)। বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা হিন্দুস্তান টাইমসকে এই বিষয়ে জানান। (আরও পড়ুন: সরকারি সংস্থার নির্মাণ কাজে অপূরণীয় ক্ষতি পুরীর জগন্নাথ মন্দিরের, দাবি ASI-এর)
বিদ্যুৎ উৎপাদন বাড়ানোর জন্য আরও একটি পদক্ষেপ করতে পারে মন্ত্রক। শক্তির ঘাটতি পূরণের জন্য বর্তমানে বন্ধ পড়ে থাকা কয়লা চালিত প্লান্টগুলিকে সক্রিয় করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে বলে জানান সেই কর্মকর্তা। সেই কর্মকর্তা বলেন, ‘গতবছরের তথ্য বিশ্লেষণ করে এবং আইএমডি-র পূর্বাভাস দেখে আমাদের মনে হয়েছে জুলাই ও সেপ্টেম্বরে ফের দুই দফায় বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছতে পারে।’
এর আগে গতবছর ৭ জুলাই দেশে বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছেছিল। সেদিন সারা দেশে বিদ্যুদের চাহিদা ছিল ২০০,৫৭০ মেগাওয়াট। সেই রেকর্ড এবছর ২৯ এপ্রিল ভেঙে যায়। এবছরের ২৯ এপ্রিল সারা দেশে বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ২০৭,১১১ মেগাওয়াট। উল্লেখ্য, এবছর এপ্রিল মাসে উত্তর ও মধ্য ভারতের গড় তাপমাত্রা গত ১২২ বছররের রেকর্ড ভেঙেছে। এই আবহে তীব্র দাবদাহের জেরে বিদ্যুতের চাহিদাও বেড়েছে লাফিয়ে লাফিয়ে। এদিকে জুলাইতেও ফের একবার গরম পড়বে। তখন বিদ্যুতের চাহিদা সর্বোচ্চ স্তরে ওঠার সম্ভাবনা আছে। সেপ্টেম্বরেও আদ্রতাজনিত কারণে ফের বিদ্যুতের চাহিদা বাড়বে। কেন্দ্রের অনুমান, এই দুই সময়কালে ২১৫,০০০ থেকে ২২০,০০০ মেগাওয়াট পর্যন্ত চাহিদা থাকতে পারে বিদ্যুতের।
এই আবহে বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী প্লান্টগুলিকে কয়লা আমদানির পরিমাণ বাড়াতে বলেছে কেন্দ্র। পাশাপাশি সেই কর্মকর্তার কথায়, ‘সেই সময় (জুলাই ও সেপ্টেম্বর) যদি কোনও রাজ্যে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়, তাহলে সংশ্লিষ্ট রাজ্য সরকার এর জন্য দায়ী থাকবে।’ মন্ত্রকের তথ্যে দেখা গেছে যে উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা, মধ্যপ্রদেশ, অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্ণাটক এবং পশ্চিমবঙ্গের মতো রাজ্যগুলি বরাদ্দকৃত কয়লা উত্তোলনে বিলম্ব করেছে। এই আবহে এই রাজ্যগুলি সময় মতো কয়লা মজুত না করলে এবং সেই সময় রেকর্ড হারে বিদ্যুতের চাহিদা বাড়লে সংকট দেখা দিতে পারে। এদিকে রেল ইতিমধ্যেই নিজেদের ক্ষমতার অনেক বেশি পরিমাণ কয়লা পরিবহণ করছে। তবে তাও চাহিদা মেটাতে সক্ষম হচ্ছে না রেল। এই আবহে সড়কপথে কয়লা পরিবহণ করতে বলা হয়েছে বিদ্যুত্ উত্পাদনকারী প্লান্টগুলি।