ক্ষুদ্র সঞ্চয় প্রকল্পের অন্যতম জনপ্রিয় স্কিম হল পাবলিক প্রভিডেন্ট ফান্ড (পিপিএফ)। যে স্কিমে অনেকেই বিনিয়োগ করেন। কারণ কম-কম করে টাকা জমিয়ে একলপ্তে একটা বড় অঙ্কের টাকা পাওয়া যায়। শুধু তাই নয়, আয়কর আইনের আওতায় বড় সুবিধাও পাওয়া যায়। প্রতি অর্থবর্ষে পিপিএফে যে টাকা দেবেন, সেটা করযোগ্য আয় কমিয়ে দেয়। তবে সেই পিপিএফ স্কিমে বিনিয়োগের ক্ষেত্রে তারিখের বিষয়টি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
তারিখের গুরুত্ব কতটা? পিপিএফের নিয়ম অনুযায়ী, প্রতি মাসের পাঁচ তারিখ থেকে ৩০ বা ৩১ তারিখের মধ্যে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে যে ন্যূনতম টাকা থাকে, সেটার ভিত্তিতে সুদ হিসাব করা হয়। সেইসঙ্গে প্রতিটি অর্থবর্ষে সর্বাধিক ১২ টি কিস্তিতে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়া যাবে। আবার প্রতি অর্থবর্ষের শুরুতেই ৫ এপ্রিলের মধ্যে একবার অগ্রিম টাকা জমা দিতে পারেন বিনিয়োগকারীরা।
আরও পড়ুন: PPF থেকে FD, আয়কর বাঁচাতে এই ৬টি বিনিয়োগ অবশ্যই মাথায় রাখুন
৫ এপ্রিলের মধ্যে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকা জমা দিলে কী হবে? ধরা যাক, ৪ এপ্রিল আপনার অ্যাকাউন্টে পাঁচ লাখ টাকা ছিল। ৫ এপ্রিল এক লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ছয় লাখ টাকার ভিত্তিতে সুদ গণনা করা হবে। অর্থাৎ মাসিক প্রাপ্ত সুদের হার হবে ৩,৫৫০ টাকা (৬ লাখ * ১/১২ * ৭.১/১০০)। উল্লেখ্য, ২০২৩-২৪ অর্থবর্ষের প্রথম ত্রৈমাসিকে সুদের হার ৭.১ শতাংশ রাখা হয়েছে।
৫ এপ্রিলের পরে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ১ লাখ টাকা জমা দিলে কী হবে? ধরা যাক, ৪ এপ্রিল আপনার পিপিএফ অ্যাকাউন্টে ব্যালেন্স ছিল পাঁচ টাকা। আপনি ৬ এপ্রিল এক লাখ টাকা জমা দিয়েছেন। সেক্ষেত্রে ৬ এপ্রিল এক লাখ টাকা দিলেও তা এপ্রিলের ক্ষেত্রে কার্যকর হবে না। অর্থাৎ পাঁচ লাখ টাকার ভিত্তিতে সুদ হিসাব করা হবে। অর্থাৎ মাসিক প্রাপ্ত সুদের হার হবে ২,৯৫৮ টাকা (৫ লাখ * ১/১২ * ৭.১/১০০)।
অর্থাৎ একদিন দেরি হলেই সুদ-বাবদ ৫৯২ টাকা কম পাবেন পিপিএফ বিনিয়োগকারীরা (৩,৫৫০ টাকা - ২,৯৫৮ টাকা)। সেক্ষেত্রে বিনিয়োগকারীদের পাঁচ তারিখের মধ্যে পিপিএফ অ্যাকাউন্টে টাকা জমা দেওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন
(এই খবরটি আপনি পড়তে পারেন HT App থেকেও। এবার HT App বাংলায়। HT App ডাউনলোড করার লিঙ্ক https://htipad.onelink.me/277p/p7me4aup)