বিয়ে ঠিক হয়ে গিয়েছিল ভোপালের ১৯ বছর বয়সি নার্সিং ছাত্রীর। কিন্তু বিয়ের আগেই প্রেমিক ইউসুফের সঙ্গে পালিয়ে যায় সেই। এর আগে এই তরুণীকে নিয়ে গিয়ে 'দ্য কেরালা স্টোরি' দেখিয়েছিলেন বিজেপি সাংসদ সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর। প্রজ্ঞা সেই তরুণীকে অন্য ধর্মের যুবকের সঙ্গে যেতে বারণ করেছিলেন। জানা গিয়েছে, প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যাওয়া তরুণী ভোপালের বসেরা এলাকার বাসিন্দা। এদিকে যে যুবকের সঙ্গে সেই তরুণী পালিয়েছে, সে তাদের প্রতিবেশী ছিল বলে জানা গিয়েছে।
জানা গিয়েছে, গত ৩০ মে সেই নার্সিং ছাত্রীর বিয়ে হওয়ার কথা ছিল। এর আগেই সেই তরুণী পালিয়ে যায় ইউসুফের সঙ্গে। জানা গিয়েছে, ইউসুফের সঙ্গে সেই পলাতক তরুণীর দীর্ঘদিনের প্রেমের সম্পর্ক। এদিকে পালানোর সময় বাড়ি থেকে নগদ টাকা এবং গয়নাও নিয়ে যায় তরুণী। এরপর ভোপালের কমলা নগর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। অভিযোগ, ইউসুফ সেই তরুণীকে ভুল বুঝিয়ে সেখান থেকে নিয়ে গিয়েছে।
এদিকে তরুণীর বাবা আরও অভিযোগ করেছেন যে ইউসুফ তার মেয়ের নামে একটি ব্যাঙ্ক লোন নিয়েছিলেন এবং তাকে ইএমআই দিতে বাধ্য করেছেন। তবে পরিবারের অভিযোগ খারিজ করে সেই মেয়েটি। সেই নার্সিং ছাত্রী পুলিশকে জানায় যে সে তার নিজের ইচ্ছায় ইউসুফের সাথে পালিয়ে গিয়েছে। এদিকে ইউসুফ এলাকার 'হিস্ট্রি শিটার' এবং তার বিরুদ্ধে ছ'টি মামলা রয়েছে স্থানীয় থানায়। এদিকে, সাধ্বী প্রজ্ঞা সিং ঠাকুর এই ঘটনার পর ফের একবার মেয়েদের লাভ জিহাদের চক্করে না পড়ার পরামর্শ দিয়েছেন। গণমাধ্যমের সঙ্গে আলাপচারিতার সময় তিনি বলেন, 'আমাদের মেয়েদের সতর্ক থাকতে হবে। আমাদের ছোট ছোট নিষ্পাপ মেয়েরা এখন বুঝতে পারছে না। কিন্তু তাদের জীবন নিরাপদ নয়। তাদের জীবনকে নিরাপদ করতে আমি দৃঢ়ভাবে এগিয়ে আসব এবং আসতে থাকব। লাভ জিহাদে আটকা পড়বেন না। আপনার পিতামাতাকে সম্মান করুন, তাদের বিশ্বাস করুন।'