প্রণব মুখোপাধ্যায়ের আত্মজীবনীমূলক বইয়ের শেষ খণ্ড প্রকাশ বন্ধ রাখতে হবে। তাঁর অনুমোদন মিললে তবে সেই বই প্রকাশ করা যাবে। প্রকাশকদের কাছে এমনই দাবি জানালেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির পুত্র অভিজিৎ মুখোপাধ্যায়।
গত শুক্রবার প্রণববাবুর লেখা শেষ বই 'দ্য প্রেসিডেন্সিয়াল ইয়ার্স'-এর কিছু অংশ প্রকাশ করেছে প্রকাশক সংস্থা রুপা। একাধিক টুইটে অভিজিৎ জানান, যে অংশ সামনে এসেছে, তা ‘উদ্দেশ্যপ্রণোদিত’। প্রকাশক কমিশ মেহরাকে টুইট করে অভিজিৎ বলেন, ‘যেহেতু আমার বাবা আর নেই, তাই ছেলে হিসেবে প্রকাশের আগে বইয়ের শেষ খণ্ডের বিষয়টি খুঁটিয়ে দেখতে চাই। আমার বিশ্বাস যে বাবা বেঁচে থাকলে উনিও তাই করতেন।’ তিনি আরও বলেন, ‘বিষয়টি খুঁটিয়ে না দেখা পর্যন্ত আমার লিখিত অনুমতি ছাড়া অবিলম্বে (বই) প্রকাশ বন্ধ করার আর্জি জানাচ্ছি।’
বিষয়টি নিয়ে প্রকাশকের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেছিল ‘হিন্দুস্তান টাইমস’। তাদের তরফে কোনও মন্তব্য করা হয়নি। তবে নাম গোপন রাখার শর্তে এক আধিকারিক জানিয়েছেন, পাণ্ডুলিপির চূড়ান্ত খসড়ায় অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রণববাবু। এমনকী হাসপাতালে ভরতির একদিন আগে বইয়ের কভারেও সায় দিয়েছিলেন।
আত্মজীবনীমূলক বইয়ের সেই অংশে ২০১৪ সালে লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের ভরাডুবির জন্য কংগ্রেসের অন্তর্বর্তীকালীন সভাপতি সোনিয়া গান্ধী এবং প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংকে নিশানা করেছিলেন প্রণববাবু। সেই বিষয় নিয়ে কংগ্রেসের তরফে অবশ্য কোনও প্রতিক্রিয়া দেওয়া হয়নি। একইসঙ্গে বইয়ে নিজের মত হিসেবে প্রণববাবু জানিয়েছিলেন যে প্রথম দফায় স্বৈরতান্ত্রিক রীতিনীতির প্রশাসন চালিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। আগামী বছর সেই বিয়ের চতুর্থ খণ্ড প্রকাশিত হতে চলেছে। যা প্রথম ২০১৪ সালে প্রকাশিত হয়েছিল। সেই সময় রাষ্ট্রপতি ভবনে ছিলেন প্রণববাবু।
ওই আধিকারিক জানিয়েছেন, ২০১৩ সালে প্রথম চুক্তি স্বাক্ষর করেছিলেন প্রণববাবু। নয়া চুক্তি হয়েছিল ২০১৮ সালে। তিনি বলেন, ‘অভিজিৎ মুখোপাধ্যায় সেখানে কোথাও ছিলেন না।’ প্রণববাবুর সঙ্গে কাজ করেছেন, এমন একজন আধিকারিক জানিয়েছেন, নয়া খণ্ডে অনুমোদন দিয়েছিলেন প্রাক্তন রাষ্ট্রপতি। সে বিষয়ে অভিজিতের থেকেও বেশি জানতেন প্রণব-কন্যা শর্মিষ্ঠা। সে বিষয়ে যোগাযোগ করা হলেও এখনও তাঁর কোনও প্রতিক্রিয়া মেলেনি।