বিকৃত যৌন মানসিকতা, শিশুপুত্রকে অপহরণ, এমনই নানা গুরুতর অভিযোগ উঠেছে তাঁর বিরুদ্ধে। অথচ সব অভিযোগই নাকি মিথ্যা। তা সত্ত্বেও স্ত্রীর অভিযোগের ভিত্তিতে তাঁকে রোজই পুলিশি হেনস্থার শিকার হতে হচ্ছে। এবার এমনই পাল্টা অভিযোগ এনে স্ত্রীর বিরুদ্ধে মুখ খুললেন ‘রিপলিং’ নামে সিঙ্গাপুরের বহু বিলিয়ন ডলারের একটি সংস্থার সহ-প্রতিষ্ঠাতা প্রসন্ন শঙ্কর।
এক্স পোস্টে হোয়াটসঅ্যাপের একটি স্ক্রিনশট দিয়ে প্রসন্নের দাবি করেন, প্রাক্তন স্ত্রী দিব্যার বাড়িতে তাঁর ছেলের সঙ্গে দেখা করতে যান। আইন মেনে ছেলের সঙ্গে দেখা করলেও, প্রসন্ন তাঁকে অপহরণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন দিব্যা। যার পালটা প্রসন্ন নিজের আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেন এবং দিব্যার বিরুদ্ধে অভিযোগ নিয়ে ফের আদালতের দ্বারস্থ হন। ফেডারেল আদালতের বিচারক স্ত্রীকে তাদের সন্তানকে তাঁর কাছে ফিরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছিলেন। তাই তিনি সন্তানকে জোর করে ভারতে নিয়ে আসেননি। একই সঙ্গে তিনি একটি ইমেলও শেয়ার করেছেন, যেখানে তাদের আইনজীবীরা সমঝোতা চুক্তি নিয়ে আলোচনা করছেন।
বিকৃত যৌন মনস্কতা প্রসঙ্গে প্রসন্ন বলেন, পুলিশ তার ফোন বা কম্পিউটারে ঘেঁটে কোনও প্রমাণ খুঁজে পায়নি এবং তাকে সমস্ত মিথ্যে অভিযোগ থেকে অব্যাহতি দেওয়া হয়েছে। তিনি আরও বলেন, 'সে অভিযোগ করেছিল যে আমি বৈবাহিক সম্পত্তির ট্রাস্ট ইত্যাদিতে স্থানান্তর করে জালিয়াতি করেছি। এগুলো আমার রিপলিং শেয়ার-যে কোম্পানি সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। এর সঙ্গে তার কোনও সম্পর্ক ছিল না। সম্পত্তির একটি নির্দিষ্ট স্তরে সবাই উত্তরাধিকার পরিকল্পনা করে। এখন আমি অনুতপ্ত।' তিনি আরও বলেন, সর্বত্র মিথ্যে অভিযোগ দায়ের করা হয়েছে তার বিরুদ্ধে।তবে এই মুহুর্তে তার হারানোর কিছু নেই। প্রসন্ন বলেন, সে হয়তো ভালই বলেছিল, হ্যাঁ আমি ভুল করেছি, কিন্তু আমি এখনও জনসাধারণের সহানুভূতি এবং তার টাকা চাই। অন্তত এই বিষয়ে সৎ থাকুন।'
এর আগে টেক কোম্পানির মালিক অভিযোগ করেছিলেন, একটি বিবাহবহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন তাঁর প্রাক্তন স্ত্রী। বিষয়টি জানতে পেরেই প্রসন্ন বিবাহবিচ্ছেদের পথে হাঁটেন। স্ত্রীকে কত খোরপোশ দেওয়া হবে, দু’জনে মিলে তা নিয়ে আলোচনাও করেন। তবে অভিযোগ, টাকার অঙ্কে সন্তুষ্ট হননি দিব্যা। তখনই তিনি প্রসন্নের বিরুদ্ধে একটি ভুয়ো অভিযোগ দায়ের করার সিদ্ধান্ত নেন বলে দাবি যুবকের। প্রসন্ন বলেন, 'ও বলতে থাকে আমি ওকে মারধর করেছি। পরে আরও এক ধাপ উপরে গিয়ে অভিযোগ তোলে, এক মাস আগে আমি ওকে ধর্ষণ করেছি, তার নগ্ন ভিডিও প্রচার করেছি, ইত্যাদি। সিঙ্গাপুর পুলিশ তদন্তের পর এই অভিযোগগুলিকে ভিত্তিহীন বলে উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু চেন্নাই পুলিশ হেনস্থা করেই যাচ্ছে।’ প্রসন্নের অভিযোগ, স্ত্রী তাঁদের ন’বছর বয়সি ছেলেকে অপহরণ করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে নিয়ে গিয়েছেন, যার ফলে তাঁকে বাধ্য হয়ে আন্তর্জাতিক স্তরে শিশু অপহরণের মামলা করতে হয়েছে। অথচ মার্কিন আদালতে ছেলের হেফাজত নিয়ে দম্পতির মধ্যে একটি সমঝোতা চুক্তি বা মউ স্বাক্ষর হয়েছিল। চুক্তির শর্ত অনুযায়ী, স্ত্রীকে এককালীন ন’কোটি টাকা ছাড়াও প্রতি মাসে প্রায় ৪.৩ লক্ষ টাকা দিতে হত শঙ্করকে। অথচ সেই চুক্তি মানেননি দিব্যা, এমনটাই দাবি করেছেন শঙ্কর।