টানা ৯ ঘন্টার ম্যারাথন জেরা করা হয় ইডি দফতরে। এই জেরা পর্বের মুখোমুখি হয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সূত্রের খবর, মঙ্গলবার প্রশান্ত কিশোরের সঙ্গে রুদ্ধদ্বার বৈঠক করেছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। নয়াদিল্লির একটি পাঁচতারা হোটেলে ভোটকুশলীর সঙ্গে বৈঠক করেছেন তিনি। সেখানেই ইডি’র প্রশ্নপত্র নিয়ে আলোচনা হয়েছে দু’পক্ষের মধ্যে।
জানা গিয়েছে, প্রায় দু’ঘণ্টা তাঁদের দু’জনের মধ্যে বৈঠক হয়। তাঁদের এই বৈঠক ঘিরে রাজনীতির অন্দরে জোর চর্চা শুরু হয়েছে। সোমবার নয়াদিল্লির জামনগরে ইডি দফতরে গিয়েছিলেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। বের হন রাতে। সেখানেই অভিযোগের সুরে বলেন, ‘ক্যামেরার সামনে হাত বাড়িয়ে টাকা নিতে গিয়ে যারা ধরা পড়েছে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিচ্ছে না তদন্তকারী সংস্থা। কারণ একটি রাজনৈতিক দলের সঙ্গে তাঁরা যুক্ত রয়েছে। তাই সব দোষ মাফ। তদন্তকারীদের দোষ দিচ্ছি না। তাঁরা নিজেদের কাজ করছেন। তাঁদের উপরেও চাপ দেওয়া হচ্ছে।’
এই মন্তব্য করার পর আজ নয়াদিল্লির এক পাঁচতারা হোটেলে বৈঠকে বসেন প্রশান্ত কিশোর এবং অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই পরবর্তী স্ট্র্যাটেজি নিয়ে আলোচনা হয় বলে খবর। বিজেপি এবার পরের কী পদক্ষেপ করতে পারে তা নিয়ে আলোচনা হয়েছে। এমনকী কী কী প্রশ্ন করা হয়েছিল অভিষেককে তাও তিনি জানিয়েছেন প্রশান্তকে বলে সূত্রের খবর। এখান থেকেই একটা আঁচ করার চেষ্টা করা হচ্ছে।
প্রশ্ন উঠছে, তাহলে কি বিরোধী জোটের সমীকরণে কোনও পরিবর্তন আসছে? যদিও এই প্রশ্নের কোনও জবাব এখনও মেলেনি। উপনির্বাচন আসতেই বিজেপির এই আগ্রাসী নীতি শুরু হয়েছে বলে অভিযোগ অভিষেকের। সুতরাং বিজেপিকে ঠেকাতেই এই বৈঠক বলে অনেকে মনে করছেন। সিবিআই, ইডি–কে যেভাবে লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে তা নিয়েও উভয়ের কথা হয়েছে বলে খবর।