বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক দল এখনও কংগ্রেসের লেজুরবৃত্তি করছে। কংগ্রেস ছাড়া বিরোধী সর্বভারতীয় স্তরে জোট সম্ভব নয় বলেই তাঁরা মনে করেন। শিবসেনা, এনসিপি থেকে হেমন্ত সোরেনের দল যখন এমন মনে করছেন তখনই বিস্ফোরক দাবি করলেন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোর। তিনি সরাসরি জানিয়ে দেন, বিজেপি বিরোধী জোটে আর কংগ্রেস ফ্যাক্টর নয়। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি এমন বিস্ফোরক দাবি করেছেন। বরং কংগ্রেস ছাড়াই বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব বলে তিনি মনে করেন। একই সঙ্গে তিনি জানান, শুধু টুইট করে, মোমবাতি মিছিল করে নরেন্দ্র মোদীর মতো নেতাকে হারানো সম্ভব নয়। এটা কংগ্রেস নেতারা বোঝেন না।
প্রশান্ত কিশোর নিজেও দেশের একাধিক শীর্ষ নেতার সঙ্গে বৈঠক করেন। সেখানে কয়েকটি দল রাজি হলেও, আবার কয়েকটি দল কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই চলতে চান। তার সবচেয়ে বড় উদাহরণ এনসিপি সুপ্রিমো শরদ পাওয়ার। তিনি কংগ্রেসকে সঙ্গে নিয়েই জোট গড়তে চান। সে কথা স্পষ্ট জানিয়েছেনও তিনি। কিন্তু প্রশান্ত কিশোরের দাবি, কংগ্রেসের যা দুরবস্থা তাতে তাদের বাদ দিয়েও বিরোধী জোট গঠন সম্ভব।
ঠিক কী বলেছেন প্রশান্ত কিশোর? সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘১৯৮৪ সালের পর আর একটা লোকসভা নির্বাচনও কংগ্রেস একার ক্ষমতায় জেতেনি। সরকার গড়তে কোনও না কোনও দলের সমর্থন প্রয়োজন হয়েছে কংগ্রেসের। এমনকী গত ১০ বছরে ৯০ শতাংশ নির্বাচনেই হেরেছে কংগ্রেস। তাই কংগ্রেস ছাড়াই বিজেপি বিরোধী জোট সম্ভব। কংগ্রেস নেতারা মনে করেন শুধু টুইট করে আর মোমবাতি মিছিল করে বিজেপিকে হারানো সম্ভব। কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুল ধারণা।’
কিছুদিন আগেই প্রশান্ত কিশোর টুইট করে বলেছিলেন, নেতৃত্ব কখনও স্বর্গ থেকে প্রাপ্ত অধিকার নয়। গণতান্ত্রিক উপায়েই দেশের নেতা খুঁজে নেওয়া উচিত। এবার তিনি সংবাদমাধ্যমে জানান, কংগ্রেসকে যদি নিজেদের অবস্থা পাল্টাতে হয়, তাহলে গণতান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় গান্ধী পরিবারের বাইরে কাউকে সভাপতি নির্বাচন করতে হবে। প্রশান্ত কিশোর এই কথা বললেও বাস্তবে তা ঘটেনি। এখন দেশের বিরোধী মুখ হয়ে উঠেছেন বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অন্যান্য রাজ্যে সংগঠন মজবুত হচ্ছে। এই পরিস্থিতিতে প্রশান্ত কিশোরের ফর্মুলা বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।