বিগত প্রায় দেড় বছর ধরে বিহার জুড়ে জনসূরয যাত্রা করছেন প্রশান্ত কিশোর। মাঝে মাঝে কোনও অনুষ্ঠানে রাজনীতি নিয়ে আলোচনা রতে দেখা যায় তাঁকে। তবে এর মাঝে নিজের পরিবারকে একদমই সময় দিতে পারেন না। সম্প্রতি ইউটিউবার সমধীশ ভাটিয়াকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অকপটে এই কথা স্বীকার করে নিলেন প্রশান্ত কিশোর। ভোটকুশলী এই সাক্ষাৎকারে নিজের স্ত্রীর নাম প্রকাশ না করলেও জানান, তিনি অসমের। বিভিন্ন রিপোর্ট থেকে জানা যায়, প্রশান্ত কিশোরের স্ত্রীর নাম জাহ্নবী দাস। তিনি গুয়াহাটির বাসিন্দা। জাহ্নবীর সঙ্গে প্রশান্তের এক পুত্র সন্তান আছে। (আরও পড়ুন: বাইডেন-ট্রাম্পের মামলায় নজর দিন, কেজরিকাণ্ডে নাক গলানো আমেরিকাকে 'পাঠ' বিজেপির)
আরও পড়ুন: জেলে হার্ট অ্যাটাক ৫ বারের বিধায়কের, মৃত্যু পূর্ব UP-র 'ত্রাস' মুখতার আনসারির
সাক্ষাৎকারে প্রশান্ত কিশোরের থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, রাজনীতিতে ডুবে থাকা সত্ত্বেও পরিবারকে কীভাবে সময় দেন তিনি। জবাবে পিকে অকপটে বলেন, 'পরিবারের জন্য সময় নেই। তারা এই নিয়ে অভিযোগ করে। ঝামেলাও হয়। তবে এখন আমার পরিবার এতে অভ্যস্ত হয়ে গিয়েছে।' প্রশান্ত কিশোরকে সঞ্চালক প্রশ্ন করেন, 'আপনাক জীবনে তো তাহলে রোম্যান্স নেই?' পিকে এর জবাবে বলেন, 'বিয়ে তো আমার ভালোবেসেই হয়েছিল।'
এরপর নিজের স্ত্রীকে নিয়ে প্রশান্ত কিশোর বলেন, 'আমার স্ত্রী স্মার্ট ওয়ার্কার। আর আমি কঠোর পরিশ্রমী। আমি বিহারের, স্ত্রী অসমের। আমাদের এটা নিয়ে হাসিঠাট্টা হয়। স্ত্রী আমাকে বলেন, 'তোমার যতই বুদ্ধি থাকুক না কেন, তুমি কঠোর পরিশ্রম করতে ভালোবাসো। কিন্তু আমি স্মার্ট। তাই আমাকে অত কাজ করতে হয় না'। আর ধীরে ধীরে কী হয়, দাম্পত্যে আপনারা একে অপরের সঙ্গে অভ্যস্ত হয়ে পড়েন। তো সঙ্গী প্লাস বা মাইনাস আপনি গ্রহণ করেন। আমার স্ত্রীর হয়ত এখন লাগে যে, এমনই আছে। এমনই থাকবে। তবে তারা আমাকে সমর্থন করে।' প্রশান্ত কিশোর জানান, তাঁর ছেলে এখন ক্লাস ৮-এ পড়ে। কয়েকদিন আগে বিহারে এসে তাঁর পদযাত্রা দেখে গিয়েছে সে। এদিকে প্রশান্ত কিশোর দাবি করেন, তাঁর ছেলে বাকিদের মতোই মোবাইলে আটকে। 'স্ক্রিনটাইম' নিয়ে নিজের উদ্বেগের কথা তুলে ধরেন পিকে। তবে বলেন, ছেলেকে এই নিয়ে বলে লাভ নেই। ও কথা শুনবে না। পিকে জানান, দিল্লিতে তাঁর দিল্লিতে একটি বাড়ি আছে।
আরও পড়ুন: 'প্রয়োজনে বদল আনব', ভোটের মুখে অগ্নিবীর নিয়োগ নিয়ে বড় মন্তব্য রাজনাথের
এদিকে প্রশান্ত কিশোর নিজের মা-বাবাকে নিয়েও কথা বলেন সাক্ষাৎকারে। জানান, তাঁর বাবা কট্টর কংগ্রেসি ছিলেন। পেশায় তাঁর বাবা চিকিৎসক ছিলেন। বহুবার সক্রিয় রাজনীতিতে প্রবেশের সুযোগ এসেছিল তাঁর বাবার সামনে। তবে পিকে-র মা রাজনীতির বিরুদ্ধে ছিলেন। তাই শেষ পর্যন্ত আর রাজনীতিতে প্রবেশ করা হয়নি তাঁর বাবার। এদিকে প্রশান্ত কিশোর জানান, তিনি তাঁর মায়ের খুব ঘনিষ্ঠ ছিলেন। তাঁর মা নাকি কোনও বিষয়ে অবগত না হলেও প্রশান্ত কিশোরকে 'অন্ধ ভাবে' সমর্থন করতেন। তবে বাবার সঙ্গে ঘণ্টার পর ঘণ্টা বসে কথা বলতে তাঁর বেশি ভালো লাগত। পিকে জানান, তাঁর মা-বাবা কয়েক বছর আগে প্রয়াত হয়েছেন।