বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমারকে তীব্র আক্রমণ করলেন জন সুরজ পার্টির প্রধান প্রশান্ত কিশোর। তিনি মুখ্যমন্ত্রীকে মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত বলে কটাক্ষ করেছেন। একই সঙ্গে তিনি মন্তব্য করেছেন, জেডিইউ নেতা রাজ্যের নেতৃত্ব দিতে সক্ষম নন। শুধু তাই নয়, কাগজে না দেখে মুখ্যমন্ত্রী নিজের মন্ত্রীদের নামও বলতে পারবেন না বলে চ্যালেঞ্জ করেছেন।
আরও পড়ুন: ভোররাতে ধস্তাধস্তিতে গ্রেফতারি, চরম নাটকের পর আদালতে 'বড় জয়' প্রশান্ত কিশোরের
বিহারের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী কর্পূরী ঠাকুরের ১০১ তম জন্মবার্ষিকী উদযাপনের জন্য পাটনার মিলার মাঠে দলের একটি সমাবেশে যোগ দেন প্রশান্ত কিশোর। সেখানেই তিনি এই মন্তব্য করেছেন। তিনি বলেছেন, ‘নীতীশ কুমার মানসিক এবং শারীরিকভাবে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন। তিনি এখন বিহারের নেতৃত্ব দিতে অক্ষম। নির্বাচনের আর মাত্র আট থেকে দশ মাস বাকি। ততদিন পর্যন্ত তাঁকে উপভোগ করতে দিন।’ উল্লেখ্য, এই বছরের শেষের দিকে বিহার বিধানসভা নির্বাচন হতে চলেছে। তার আগে প্রশান্ত কিশোরের এই মন্তব্য সামনে এসেছে। প্রশান্ত কিশোরের জন সুরজ পার্টিও সেই ভোটের সময় নির্বাচনী আত্মপ্রকাশ করবে বলে মনে করা হচ্ছে।
প্রশান্ত কিশোর নীতীশ কুমারকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে বলেছেন, কাগজ থেকে না পড়ে তিনি তাঁর মন্ত্রীদের এবং নিজ নিজ বিভাগের নাম বলতে পারবেন না। যদি তিনি বলতে পারেন তাহলে প্রশান্ত কিশোর জন সুরজ ছেড়ে দেবেন এবং মুখ্যমন্ত্রীকে সমর্থন করবেন বলে জানিয়েছেন। তিনি বলেন, ‘যদি নীতীশ কুমার ক্যামেরায় এসে কাগজ না দেখে তাঁর মন্ত্রী পরিষদের সব মন্ত্রীদের নাম এবং বিভাগের নাম আমাকে বলতে পারেন তাহলে আমি দল ছেড়ে তাঁর সমর্থনে দাঁড়াবো।’
আইনশৃঙ্খলা নিয়েও মুখ্যমন্ত্রীকে কটাক্ষ করেন প্রশান্ত কিশোর। তিনি বলেন, বিহারের আইনশৃঙ্খলার অবনতি হচ্ছে। এর জন্য নীতীশ কুমারের মানসিক অস্থিরতাকে দায়ী করেছেন কিশোর। তিনি বলেন, মুখ্যমন্ত্রী যখন অস্থির থাকেন তখন আইনশৃঙ্খলার অবনতি হওয়া স্বাভাবিক। সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রশান্ত কিশোর বলেন, তিনি একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গঠনের লক্ষ্য নিয়েছেন। প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রীর প্রসঙ্গ তুলে জন সুরজ পার্টির প্রধান বলেন, ‘কর্পূরীজির জন্মদিন উদযাপন করা এবং তাঁর পথ অনুসরণ করে কাজ করা দুটি ভিন্ন জিনিস। আমরা কোনও রাজনৈতিক মন্তব্য করিনি। আমরা একটি সমতাভিত্তিক সমাজ গড়তে কর্পূরী ঠাকুরের ধারণার ভিত্তিতে আমাদের দৃষ্টিভঙ্গি প্রকাশ করেছি। আমরা পাঁচটি স্তম্ভের কথা উল্লেখ করেছি। চাকরিতে সংরক্ষণ, রাজনৈতিক অংশগ্রহণের পাশাপাশি শিক্ষা, জমি এবং পুঁজি বণ্টনে সমতা যতক্ষণ না থাকবে ততক্ষণ সমতাভিত্তিক সমাজ গড়ে তোলা যাবে না।’