‘জন সুরজ’- এর প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর ২০২৫ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিহারের ২৪৩টি আসনে লড়ার কথা আগেই ঘোষণা করেছিলেন। আর এবার মুসলিম প্রার্থী দেওয়া নিয়ে লালু প্রসাদের দল আরজেডিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিলেন পিকে। আরজেডির বিরুদ্ধে মুসলমানদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসাবে ব্যবহার করার অভিযোগ তুলে তিনি বলেন, জনসংখ্যার ভিত্তিতে তারা ৪০টি আসনে মুসলিম প্রার্থী দিয়ে দেখাক।
আরও পড়ুন: ‘মোদীর পা ছুঁয়ে বিহারকে লজ্জিত করেছেন,’ নীতীশকে কটাক্ষ প্রশান্ত কিশোরের
রবিবার সংবাদ মাধ্যমের সামনে প্রশান্ত কিশোর বলেন, ‘আরজেডি নিজেদের মুসলিমদের শুভাকাঙ্ক্ষী এবং মুসলিম দরদী বলে দাবি করে। যদি তাই হয় তাহলে জনসংখ্যার ভিত্তিতে কমপক্ষে ৪০ টি আসনে মুসলিম প্রার্থী দিয়ে দেখাক তারা। আমি বলছি, আপনারা যেখানেই কোনও মুসলিমকে প্রার্থী করবেন, আমরা সেখানে হিন্দু প্রার্থীকে দাঁড় করাব।’ এরপরেই আরজেডিকে কটাক্ষ করে তিনি বলেন, ‘মুসলিমদের অধিকার কেড়ে নেওয়া বন্ধ করুন। তাদের ভোট ব্যাঙ্ক হিসেবে ব্যবহার করা বন্ধ করুন। জনসংখ্যা অনুযায়ী মুসলিমদের টিকিট দিন।’
২০২৫ সালে বিহারের বিধানসভা নির্বাচনে জয়ী হওয়া নিয়েও আত্মবিশ্বাসী পিকে। তিনি বলেন, ‘২০২৫ সালে জন সুরজের মুখ্যমন্ত্রী শপথ নেবেন এবং জন সুরজের সরকার ক্ষমতায় আসবে। সেখানে যদি এবং কিন্তু নেই।’একইসঙ্গে আরজেডিকে প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে মানতে নারাজ পিকে। তিনি দাবি করেন, বিহার বিধানসভা নির্বাচনে তাদের লড়াই হবে এনডিএর সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লোকসভা নির্বাচন অনুযায়ী, বিহারের ২৪৩ টি বিধানসভা আসনের মধ্যে ১৭৬টিতে এনডিএ এগিয়ে রয়েছে। আরজেডি কোথাও নেই।’
এর আগে, প্রশান্ত কিশোর বলেছিলেন, ২০২৫ সালে জন সুরজ ২৪৩টি আসনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবে এবং কমপক্ষে ৪০ জন মহিলাকে প্রার্থী করবেন। তিনি আরও বলেন, ‘২০৩০ সাল পর্যন্ত জন সুরজ থেকে কমপক্ষে ৭০ থেকে ৮০ জন মহিলাকে প্রশিক্ষণ দিয়ে নেতা করা হবে। এটা মহিলা সেলের সভা নয়, এটি সত্যিকার অর্থে নারীদের নেতৃত্ব দেওয়ার প্রচেষ্টা। যতক্ষণ না নারীরা অর্থনৈতিক স্বাধীনতা পাবেন ততক্ষণ তাদের সমান অংশগ্রহণ সম্ভব নয়। সেজন্য জন সুরজের প্রথম ধাপে বিধানসভা নির্বাচনে ৪০ জন নারীকে প্রার্থী করা হবে।’ এছাড়াও, তিনি দাবি করেন, জন সুরজ সরকার গঠিত হলে ১০-১২ হাজার টাকার চাকরির জন্য কাউকে বিহার ছাড়তে হবে না। এর জন্য একটি সম্পূর্ণ ব্লুপ্রিন্ট তৈরি করে ফেলেছে জন সুরজ।