এই বছরের শেষের দিকে হতে চলেছে বিহারের বিধানসভা নির্বাচন। তাতে অংশগ্রহণ করতে চলেছে প্রাক্তন ভোটকুশলী প্রশান্ত কিশোরের সদ্য আত্মপ্রকাশ পাওয়া দল জন সুরাজ পার্টি। নির্বাচনের লক্ষ্যে এখন থেকেই আঁটঘাট বেঁধে নেমে পড়েছেন প্রশান্ত কিশোর। তবে তাঁর দলের তহবিল নিয়ে বিতর্ক শুরু হয়েছে বিহারের রাজনীতিতে। জেডিইউ-এর মুখপাত্র নীরজ কুমার প্রশান্ত কিশোর জন সুরাজ পার্টির তহবিল নিয়ে গুরুতর প্রশ্ন তুলেছেন। তিনি জন সুরাজ দলের তহবিলের ক্ষেত্রে অনিয়মের অভিযোগ তুলেছিলেন। এরপরে তহবিল জনসমক্ষে প্রকাশ করার দাবি জানান তিনি। এবার তার পালটা জবাব দিলেন প্রশান্ত কিশোর।
আরও পড়ুন: আবার ভোটকুশলী হিসাবে মাঠে নামছেন প্রশান্ত কিশোর, ‘বিশেষ পরামর্শদাতা’ পদ পেলেন
তহবিলে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ উঠেতেই জেডি (ইউ)-এর প্রাক্তন নির্বাচনী কৌশলবিদ প্রশান্ত কিশোর বুধবার পাল্টা আক্রমণ করে বলেছেন যে অর্থ আসে বুদ্ধির গুণে। তিনি বলেন, ‘কিছু লোক প্রশ্ন তুলছেন যে আমি দল পরিচালনার জন্য অর্থ কোথা থেকে পাচ্ছি। তাদের জানা উচিত যে অর্থ আমার বুদ্ধিমত্তার কারণে আমার কাছে আসে। দেবী সরস্বতীর আশীর্বাদ থাকলে যে কেউ অবশ্যই দেবী লক্ষ্মীর আশীর্বাদ পাবেন।’ এদিন দলীয় কর্মীদের উদ্দেশ্যে বক্তৃতা রাখার সময় জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতা প্রশান্ত কিশোর একথা বলেন।
প্রশান্ত কিশোর আরও বলেন, তিনি কখনও ঠিকাদার, বিধায়ক, সাংসদ বা কোনও সরকারি পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন না। তিনি যা কিছু অর্জন করেছেন তা তাঁর বুদ্ধিমত্তার কারণে। তিনি বলেন, ‘আমি এখন যা কিছু পেয়েছি তা আমার বুদ্ধির কারণে পেয়েছি। আমার বাবার কাছ থেকে উত্তরাধিকারসূত্রে পাইনি।’ বিহারের যুবকদের ভিন রাজ্যে কাজে যাওয়া নিয়ে রাজ্য সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন, বিহারের যুবকদের গুজরাটে যাওয়া আর গ্রহণযোগ্য হবে না। বিহারের যুবকরা শ্রমিক হিসেবে কাজ করার জন্য জন্মগ্রহণ করেনি।
উল্লেখ্য, জেডি(ইউ) মুখপাত্র নীরজ কুমার এক সংবাদ সম্মেলনে প্রশান্ত কিশোরের বিরুদ্ধে আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ আনার এক সপ্তাহ পর এই প্রতিক্রিয়া এল জন সুরাজের প্রতিষ্ঠাতার। তিনি দাবি করেন, বেঙ্গালুরুতে রেজিস্ট্রার থেকে একটি অফিস সহ একটি প্রতিষ্ঠান থেকে এই তহবিল পেয়েছেন। আর তা প্রমাণ করার জন্য তাঁর কাছে নথি রয়েছে। জেডি(ইউ)-এর মুখপাত্র আরও দাবি করেছেন যে, তাঁর কাছে থাকা তথ্য অনুযায়ী, প্রশান্ত কিশোর একবার একটি ফাউন্ডেশনে ৫০ লক্ষ টাকা দান করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন, তাঁর আয়ের উৎস কী ছিল? তারপরেই কিশোরের এই উত্তর সামনে এসেছে।