নাম না করে প্রধানমন্ত্রীর ভাষণকে নিয়ে বিদ্রুপ করলেন প্রশান্ত কিশোর। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের রাজনৈতিক উপদেষ্টা প্রশ্ন করেছেন করোনা মহামারীতে যেখানে সারা দুনিয়া ত্রস্ত, সেটিকে সুযোগ হিসাবে কাজে লাগিয়ে কীভাবে এগিয়ে যাবে ভারত? প্রসঙ্গত, মোদী নিজের ভাষণে মঙ্গলবার করোনার এই সংকটকে সুযোগ হিসাবে ব্যবহার করে বিশ্বে ভারতের স্থান মজবুত করার কথা বলেছিলেন। এর জন্য অর্থনীতিকে ঢেলে সাজাবার কথা ও দেশের পাঁচ স্তম্ভের ওপর ভর করে স্বনির্ভর হওয়ার কথা বলেন তিনি।
কিন্তু প্রশান্ত কিশোর এই কথা বিশ্বাস করছেন না। সংযুক্ত জনতা দল থেকে বহিস্কৃত হওয়ার পর এখন বিজেপি সহ এনডিএ-র সব কিছুতেই খুঁত ধরেন তিনি। প্রধানমন্ত্রীর নাম না করে তাঁর ভাষণ শেষ হওয়ার পর আইপ্যাকের কর্ণধার টুইট করেন-
প্রশান্ত বলেন একনয় সারা বিশ্ব বোকা বা আমরা সবার থেকে চালাক এটা ভাবার জন্য যে মহামারী সকলের জীবন, জীবিকার সংকট তৈরী করেছে সেটিকে ব্যবহার করে ভারত বিশ্বের মধ্যে শ্রেষ্ঠ হতে পারবে।
প্রসঙ্গত তৃণমূল কংগ্রেসও কিছুটা হলেও একই সুরে প্রতিক্রিয়া দিয়েছে মোদীর আর্থিক প্যাকেজ নিয়ে।
২০ লক্ষ কোটি টাকা অর্থাত্ জিডিপি-র দশ শতাংশ ব্যয় করা হবে অর্থনীতিকে স্বনির্ভর করার জন্য, জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী। আজ চারটের সময় এই সম্পর্কে বিস্তারিত জানাবেন অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন । প্রধানমন্ত্রী বলেন আগের প্যাকেজ ও আরবিআই যা ঘোষণা করেছে, সেগুলিকে মিলিয়ে মোট ২০ লক্ষ কোটি টাকার প্যাকেজ দেওয়া হবে ও সেটা জমি, শ্রম, অর্থের জোগান ও ক্ষতি-চারটি বিষয় নিয়েই সমাধান দেবে।
কৃষি, চাষী, মধ্যবিত্ত, ব্যবসায়ী- সবার জন্যেই এই প্যাকেজ বলে জানান মোদী।এমএসএমই ও কুটির শিল্প, যেগুলি আত্মনির্ভর ভারতের বুনিয়াদ গড়ে, সেগুলির কথা বিশেষ করে উল্লেখ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন আত্মনির্ভর হওয়ার জন্য অর্থনীতি, পরিকাঠামো, প্রযুক্তির সাহায্যে চালানো প্রক্রিয়া, ডেমোগ্রাফি ও চাহিদা-এই পাঁচটি স্তম্ভের ব্যবহার করতে হবে।
কৃষির ক্ষেত্রে পুরো সাপ্লাই চেনটি ঢেলে সাজাবার কথা বলেন তিনি। মোদী বলেন সংস্কার এমন ভাবে করা হবে যেখানে কর পদ্ধতি বদলাবে, আইনে সরলীকরণ আসবে, বিশ্বমানের প্রযুক্তি গড়া হবে, সক্ষম মানবসম্পদ থাকবে ও মজবুত আর্থিক ব্যবস্থা থাকবে।